* খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া।
* মিসওয়াক করা।
* গোসল করা।
* উত্তম পোশাক পরিধান করা (নতুন বা পুরাতন)।
* সুগন্ধি আতর ব্যবহার করা।
* ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে কোন মিষ্টি দ্রব্য আহার করা। ঈদুল আদ্বহার দিন ঈদগাহের যাওয়ার পূর্বে কোন কিছু না খাওয়া (খেলে কো দোষ হবে না)
* ঈদগাহে এক রাস্তা দিয়ে যাওয়া এবং অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসা।
* ঈদের নামাজে যানবাহনে আরোহণ করে যাওয়াই কোন দোষ নেই তবে পায়ে হেঁটে যাওয়াই উত্তম।
* ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা (বিনা ওজরে মসজিদে নাপড়া)।
* ঈদুল ফিতরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় আস্তে আস্তে তাকবীর বলা।
* ঈদুল আদ্বহার দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় জোরে জোরে তাকবীর বলা।
*ঈদের খোৎবা ঈদের নামাজের পর পাঠ করা।
* ঈদুল আদ্বহার দিন কুরবানীর গোশত হতে কিছু আহার করা। (ফাতওয়ায়ে আলমগীরী/কাজীখান/ রাদ্দুল মুহতার/হেদায়া/শরহে বেকায়া।)
* জামানার ফাসাদের কারণে মহিলাগন চঈদ ও জুমআ নামাজের জন্য বার হতে পারবে না। (আদদুরুল মুখতার ২/৩০৭)
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرَ وَلِلَّهِ الحمد
আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহ ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লায় আকবর আল্লাহ আকবর অলিল্লাহিল হামদ। বিলহজ্জ মাসের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পুরুষের জন্য উচ্চ আওয়াজে এবং মহিলাদের জন্য নিচু আওয়াজে তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব। (রাদ্দুল মুহতার ১: ৬২০)
ঈদ সংক্রান্ত মাসাইল
* ঈদের খুতবাহ অধিক বড় করা মকরুহ। তবে খুতবা যাই হোক না কেন মুসল্লিদের জন্য তা শ্রবন করা ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী: ১: ১৪৭ পূঃ )
* ওয়াকফ কৃত ঈদগাহে খেলাধূলা করা ধান-পাট ইত্যাদি শুকানো জায়েয নয়। (ফতাওয়ায়ে শামী ১:৬৫৭ পৃঃ আহসানুল ফাতওয়া ৬: ৪২৮ পৃঃ)
ঈদের দিনের ফজিলত
* হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত রসূল (সঃ) ঈদের দিনে ভিন্ন পথ দিয়ে ফিরতেন (বুখারী হাঃ ৯৮৬)
* ঈদের দিন আনন্দ উৎসব করার অনুমতি আছে। (বুখারী হাঃ ৯৩৯)
• হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত- রসুল (সঃ) ঈদুল ফিতরের দুই রাকআত নামাজ আদায় করেন। এর আগে ও পরে কোন নফল নামাজ আদায় করেন নি। (বুখারী হাঃ ৯৬৪)
• বর্ণিত আছে ঈদুল ফিতরের দিন একদল ফেরেস্তারা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাড়িয়ে ঘোষণা দিতে থাকে ওহে উম্মতে মুহাম্মদী তোমরা আল্লাহ-র দিকে অগ্রসর হও। আল্লাহ তোমাদের অফুরন্ত রহমত দান করবেন এবং বড় বড় গোনাহ ক্ষমা করবেন। যখন তারা ঈদগাহে পৌঁছে যায় তখন আল্লাহ ঘোষণা করেন ওহে ফেরেস্তা মণ্ডলী তোমরা স্বাক্ষী থেকো আমি তাদেরকে আমার সন্তুষ্ট দান করলাম এবং তাদের ক্ষমা করে দিলাম। (মু, বা পুঃ ৩৩১)
যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে বিনিদ্র থেকে ইবাদত করবে তার হৃদয় সেই দিন জীবন্ত থাকবে। যে দিন সমস্ত অন্তর ও হৃদয় মরে যাবে। (তাবরানী শরীফ)
ঈদের দিন তাকবীর বা রাকআত ছুটে গেলে করণীয়।
ইমাম সাহেবের ঈদের নামাজ অতিরিক্ত তাকবীর বলে আরম্ভ করার পর যদি কোন মুসল্লি আগমন করে তাহলে সে তাকবীর বলে তাহারিমা বেধে অতিরিক্ত তাকবীর গুলি বলবে। আর ইমাম সাহেব যদি রুকুতে চলে যান তাহলে আগত মুসল্লি যদি মনে করেন যে তাহরিমা বেঁধে অতিরিক্ত তাকবীর গুলি বলে রুকুতে পেয়ে যাবে তাহলে তাই করবেন। আর যদি ইমাম সাহেব কে রুকুতে পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে শুধু তাহরিমা বেঁধে রুকুতে চলে যাবেন এবং রুকুর তাসবীহ পাঠ না করে অতিরিক্ত তাকবীর গুলি বলে নিতে হবে কিন্তু হাত উঠাতে হবে না। কারণ রুকুর তাসবীহ পাঠ করা সুন্নত, আর ঈদের তাকবীর ওয়াজিব। এটি প্রথম রাকআতের ক্ষেত্রে। দ্বিতীয় রাকআতে রুকুর তাসবী পড়া ওয়াজিব। আর যদি তাকবীর পাঠ করলে ইমাম সাহেব উঠে যায় তাহলে উঠে যাবে। আর তাকবীর গুলি বলতে হবে না, তার দায়িত্ব থেকে মুক্ত হবে। আর যদি কারও রাকআত ছুটে যায় তাহলে একরাকআত ঈমাম সাহেবের সঙ্গে পড়ে সালাম ফেরানোর পর উঠে গিয়ে ছেড়ে যাওয়া রাকআত পূর্ণ করবে এক্ষেত্রে প্রথমে সূরা কেরাত পাঠ করে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে অতিরিক্ত তাকবীরগুলি বলে নামাজ শেষ করতে হবে। (ফাতহুল কাদীর ২:৪৬ পূঃ আহসানুল ফাতওয়া ৪: ১১৬ পৃঃ
0 Comments