হযরত ইব্রাহীম (আ) যদিও ফিলিস্তিনে বসবাস করতেন, কিন্তু ইসমাঈল (আ) ও হাজেরাকে দেখার জন্য প্রায়ই মক্কায় আগমন করতেন। এ সময়ের ভেতরেই হযরত ইব্রাহীম (আ) এর প্রতি আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ থেকে প্রত্যাদেশ হল, বাইতুল্লাহ্ নির্মাণ কর। হযরত ইব্রাহীম (আ) হযরত ইসমাঈল (আ)এর সাথে আলোচনা করে পিতা-পুত্র মিলে বাইতুল্লাহর নির্মাণ কার্য শুরু করে দিলেন।
হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (র) ফাতহুল বারী কিতাবে ৮ম জিল্দ ১৩৮ পৃষ্ঠায় একটি রেওয়ায়েত উদ্ধৃত করেছেন যে, বাইতুল্লাহ শরীফের সর্বপ্রথম ভিত্তি হযরত আদম (আ)এর হাতে স্থাপিত হয়েছিল। ফেরেশতারা তাঁকে সে স্থানটি দেখিয়ে দিয়েছিলেন যেখানে বহুকাল পূর্বে তাকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। অবশ্য হযরত ইব্রাহীম (আ)এর সময় নিশ্চিহ্ন গৃহটি একটি টিলা কিম্বা মাটির ঢিবির আকারে বিদ্যমান ছিল। তাই সে স্থান, আল্লাহ্ ওহীর মাধ্যমে ইব্রাহীম (আ)কে তা জানিয়ে দিলেন। তিনি হযরত ইসমাঈল (আ) কে সাথে নিয়ে তা খুঁড়তে আরম্ভ করলেন। অবশোষে পূর্ব নির্মাণের ভিত্তিমূলের দেখা পেতে লাগলেন। সে ভিত্তিমূলের উপরই ইব্রাহীম (আ) কর্তৃক বায়তুল্লাহ নির্মিত হল। কিন্তু কোরআনুল কারীম বাইতুল্লাহ্ নির্মাণের ব্যাপারটি তার পূর্ববর্তী অবস্থার কোন আলোচনা না করে হযরত ইব্রাহীম থেকে আরম্ভ করেছে।
সারকথা এ কা'বা গৃহ নির্মাণের পূর্বে সমগ্র বিশ্বের আনাচে-কানাচে মূর্তিসমূহ এবং নক্ষত্রগুলোর পূজার জন্য মন্দিরসমূহ বিদ্যমান ছিল। আর ঐসব মূর্তি ও নক্ষত্রের নামে বিরাট বিরাট অট্টালিকা নির্মাণ করা হত।
মিসরবাসীদের সেখানে সূর্য দেবতা, ইয়দারীস, ইজিয়াস, হুরিয়াস, এবং বা'আল্ দেবতা প্রভৃতি সকলের নামেই মন্দির ছিল। আশূরীরা বা'আল দেবতার মন্দির নির্মাণ করেছিল এবং আবু হাওলের প্রতিকৃতি ধাতু বা প্রস্তর দ্বারা নির্মাণ করে রেখেছিল। কেনী সম্প্রদায় প্রসিদ্ধ দূর্গ বা'আলা বাক্বের ভেতরে সেই বা'আলের বিখ্যাত মন্দির নির্মাণ করেছিল, যা আজ পর্যন্ত স্মৃতিচিহ্ন স্বরূপ চলে আসছে। গারাহ্এর অধিবাসীরা 'দাজুন' নামক মৎস্যদেবীর মন্দিরে নৈবেদ্যসমূহ দেবতার উদ্দেশে অর্পণ করত। উক্ত মৎস্য দেবীর আকৃতি মানুষের এবং দেহ মৎস্যের ন্যায় বানিয়ে ছিল। আমুনীরা সূর্যদেবতার সাথে চন্দ্রকে দেবীর আকৃতি বানিয়ে পূজা করত। তার জন্য জাঁকজমকপূর্ণ বিরাট মন্দির নির্মাণ করেছিল। পারসিকরা অগ্নির পবিত্রতা ঘোষণা করে অগ্নিকুণ্ডসমূহ নির্মাণ করেছিল রোমানরা মাসীহ্ (আ) এবং কুমারী মারইয়ামের মৃতি তৈরি করে গির্জাসমূহকে অলঙ্কৃত করেছে। আর হিন্দুস্তানীরা মহাত্ম্যা বুদ্ধদেব, শ্রীরামচন্দ্র, স্ত্রী মহাবীর শ্রীমহাদেবকে দেবতা ও অবতার মান্য করে কালিদেবী, শীতলা দেবী, সীতাদেবী, পার্বতীদেবী নামে হাজার হাজার মূর্তির পূজার জন্য বিরাট বিরাট মন্দিরসমূহ নির্মাণ করেছে, হারদোয়ার, (হরিদ্বার) প্রয়াগ, কাশী, পুরী, টেকশালা, সাঁচী এবং বুদ্ধ গয়ার মত ধর্মীয় তীর্থ স্থানসমূহ এর জলন্ত সাক্ষ্য বহন করেছে।
কিন্তু এর বিপরীত শুধু এক আল্লাহর এবাদত এবং তাঁর একত্বের অঙ্গীকারে প্রার্থনার মস্তক অবনত করার জন্য সারা দুনিয়ার মূর্তির আখড়াসমূহের মাঝখানে সর্বপ্রথম গৃহ যা আল্লাহর ঘর নামে অভিহিত হল তা এই 'বাইতুল্লাহ শরীফই' বটে। কবি ইকবাল বলেন-
"ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ যেই গৃহের একজন রাজমিস্ত্রী ছিলেন।' তাই সমগ্র দুনিয়ার বুকে সর্বপ্রথম 'এবাদতখানা', 'আল্লাহর ঘর' নামে অভিহিত হল।"
কোরআনুল কারীম বলে-
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَة مُبْرَكا وَهُدًى لِلْعَلَمِينَ - (آل عِمْرَانَ)
অর্থাৎঃ "নিঃসন্দেহ, মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘরটি নির্মিত হয়েছে, তা সে ঘর যা বাক্কায় (মক্কার অপর নাম) অবস্থিত। তা বরকতময় আর বিশ্বজগতের জন্য দিশারী। (সূরা আলে ইমরান: ৯৬)
এবারকার নির্মাণে অতি উচ্চ মর্যাদাশালী রাসূল হযরত ইব্রাহীম (আ) হলেন রাজমিস্ত্রী। আর ইসমাঈল (আ)এর ন্যায় নবী এবং আল্লাহর যবীহ হলেন তাঁর যুগালী। পিতা-পুত্র দু'জনই তার নির্মাণকার্যে রত। যখন এর দেওয়ালগুলো গাঁথতে গাঁথতে উপরে উঠে গেল এবং বুযুর্গ পিতার হস্ত উপরে গাঁথতে অক্ষম হয়ে গেল তখন আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশে একখণ্ড পাথর 'ভার' বহনকারী হল। হযরত ইব্রাহীম (আ) তার উপর আরোহণ করে গেঁথে যেতেন। সে স্মৃতিচিহ্নই যা আজ মাক্কামে ইব্রাহীম নামে পরিচিত। যখন নির্মাণ কার্য এ সীমায় পৌঁছল যেখানে বর্তমানে হাজারে আসওয়াদ (কৃষ্ণ পাথর) লাগান রয়েছে, তখন জিব্রাঈল (আ) হযরত ইব্রাহীম (আ)কে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন এবং পাশ্ববর্তী একটি পাহাড় হতে হাজরে আসওয়াদকে, যাহা জান্নাত হতে আনীত পাথর বলে কথিত, সুরক্ষিত অবস্থায় বের করে তার সম্মুখে রেখে দিলেন, যথাস্থানে লাগিয়ে দেয়ার জন্য।
'বাইতুল্লাহ্'র (আল্লাহ্র ঘরের) নির্মাণ কার্য যখন সম্পন্ন হয়ে গেল, তখন আল্লাহ্ তা'আলা হযরত ইব্রাহীম (আ) কে বললেন এ গৃহই ইব্রাহীমী দ্বীনের কেবলা এবং আমার সম্মুখে মস্তক অবনত করার প্রতীক। সুতরাং তাকে তওহীদ তথা একত্ববাদের কেন্দ্র সাব্যস্ত করা হল। তখন ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আ) দোয়া করলেন, আল্লাহ্ তা'আলা যেন তাদেরকে এবং তাদের সন্তানদেরকে নামায কায়েম করা ও যাকাত প্রদান করার হেদায়াত দান করেন, তার উপর দৃঢ়তা ও স্থায়িত্বও দান করেন। আর তাদের জন্য নানাবিধ ফলফলাদি ও রিযিকের বরকত দান করেন। আর সমগ্র বিশ্বের হেদায়াত প্রাপ্তদের এদিকে আকৃষ্ট করে দেন, যেন তারা দূর দূরান্ত হতে এসে হজ্জের কার্যগুলো সম্পন্ন করে এবং হেদায়াতে ও সৎপথ প্রাপ্তির এ কেন্দ্রস্থলে একত্রিত হয়ে নিজের জীবনের সৌভাগ্য লাভ করে।
কোরআনুলকারীম বাইতুল্লাহ্ শরীফ নির্মাণকালে হযরত ইব্রাহীম ও ইসমাঈল (আ) এর মুনাজাত, নামায কায়েম করা ও হজ্জের করণীয় কার্যগুলো সম্পন্ন করার জন্য আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ এবং বায়তুল্লাহ্ তাওহীদের কেন্দ্রস্থল হওয়ার ঘোষণা স্থানে স্থানে উল্লেখ করেছে এবং নতুন নতুন বর্ণনা ভঙ্গিতে তার মহত্ত্ব ও উচ্চ মর্যাদাকে নিম্নোক্ত আয়াতগুলোতে ব্যক্ত করেছে-
إِن أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكة مُبَرَكَانَ هُدًى لِلْعَلَمِينَ فِيْهِ أَيْتُ بَيِّنَتُ مقَامُ إِبْرَاهِيمَ - وَمَنْ دَخَلَهُ كَانَ أَمِنًا وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجَ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا - وَمَنْ كَفَرَ فَإِنَّ اللَّهَ غَنِيٌّ عَنِ الْعَلَمِينَ - (الِ عِمْرَانَ)
অর্থাৎঃ "নিঃসন্দেহ, মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম যে ঘর, নির্মিত হয়েছে, তা মক্কায় অবস্থিত, তা বরকময় এবং বিশ্বজগতের দিশারী। ওতে (সত্য দ্বীনের) অনেক স্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইব্রাহীম। যে কেউ সেখানে নিরাপদ প্রবেশ করে সে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের জন্য এই বিষয়টি অবশ্য কর্তব্য হয়েছে যে, যদি সে ঘর পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য প্রাপ্ত হয়, তবে যেন হজ্জ করে। এতকিছু সত্ত্বেও, কেউ (এই সত্যকে) অবিশ্বাস করলে সে জেনে রাখুক আল্লাহ তা'আলা বিশ্ব জগতের মুখাপেক্ষী নন।" -(সূরা আলে ইমরান: ৯৬-৯৭)
"আর (স্মরণ কর সে সময়ের কথা যখন আমি কা'বাগৃহকে) মানব জাতির সমবেত হওয়ার কেন্দ্রস্থলও নিরাপত্তার স্থান সাব্যস্ত করলাম এবং আদেশ করলাম যে, মাকামে ইব্রাহীমকে যেন (চিরকালের) নামাযের স্থান করা হয়। আর আমি ইব্রাহীম ও ইসমাঈলকে তাওয়াফকারী, এতে ই'তিকাফকারী এবং রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য আমার এ গৃহকে পবিত্র রাখতে আদেশ করেছিলাম। (কুফর এবং নাফরমানীর অসূচীতার দ্বারা অপবিত্র করও না) আর যখন ইব্রাহীম (আ) আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করলেন, হে আমার প্রতিপালক! এ স্থানটিকে নিরাপত্তার শহর করে দিন। এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে যারা আপনার উপর এবং কিয়ামত দিবসের উপর ঈমান আনয়নকারী হবে তাদেরকে ফলমূল হতে জীবিকা প্রদান করুন। এ প্রার্থনার জবাবে আল্লাহ্ তা'আলা বলেছিলেন, (তোমার প্রার্থনাতে কবুল করা হল এবং এখানকার অধিবাসীদের মধ্যে যে কুফরী করবে, তাদেরকেও আমি (জীবিকার সরঞ্জামাদি দ্বারা) কিছুকালের জন্য জীবন উপভোগ করতে দেব। কেননা, পরিশেষে তাকেও জাহান্নামের শান্তি ভোগ করতে বাধ্য করব। আর তা কত নিকৃষ্ট পরিনাম। আর স্বরণ কর যখন ইব্রাহীম এবং ইসমাঈল কা'বা গৃহের প্রাচীর তুলছিলেন তখন তাঁরা বলেছিলেন আমাদের এ কার্যটি কবুল করে নিন। নিঃসন্দেহ, আপনিই (দোয়াসমূহ) শ্রবণকারী এবং (দুনিয়ার সুযোগ-সুবিধা সম্বন্ধে) পরিজ্ঞাত। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে আপানার একান্ত অনুগত করুণ এবং আমাদের বংশধর থেকে আপনার এক অনুগত জাতি করুন। হে আল্লাহ! আমাদেরকে আপনার এবাদতের (সঠিক) পন্থা বলে দিন, আর আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা করুন। নিঃসন্দেহ, আপনি পরম ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।। আর হে আমাদের প্রতিপালক (নিজ দয়ায় ও অনুগ্রহে) তাদের মধ্য থেকে তাদের নিকট আপনার এমন একজন রাসূল প্রেরণ করুন, যিনি আপনার আয়াতসমূহ পাঠ করে তাদেরকে শুনাবেন, তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবেন, নিঃসন্দেহ, আপনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।" (সূরা বাক্বারাহঃ ১২৫-১২৯)
"আর স্মরণ করুন যখন আমি ইব্রাহীমের জন্য সে গৃহের স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম তখন বলেছিলাম, আমার সাথে কাউকে শরীক করো না, আমার গৃহকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য যারা এর তাওয়াফ করে, খারা (নামাযে) দাঁড়ায়, রুক্ করে এবং সিজদা করে। এবং মানুষের কাছে হজ্জের ঘোষণা করে দাও। তারা তোমার নিকট আসবে দূর দূরান্তের পথ অতিক্রম করে, পদব্রজে ও সর্ব প্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রসমূহের পিঠে গুড়ে যেন তারা তাদের কল্যাণময় স্থানসমূহে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা জীবিকা হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা থেকে আহার কর এবং দুঃস্থ ও অভাবগ্রস্থকে আহার করাও। অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিবচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানর পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে এ প্রাচীন গৃহের। এটাই বিধান এবং কেউ আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত পবিত্র অনুষ্ঠানগুলোর সম্মান করলে তার প্রতিপালকের নিকট তার জন্য এটাই উত্তম। তোমার জন্য হালাল করা হয়েছে। চতুষ্পদ জন্তু- এগুলো ছাড়া আর যা তোমাদেরকে শোনান হয়েছে। সুতরাং তোমরা বর্জন কর প্রতিমা পুজার অপবিত্রতা এবং মিথ্যা কথা হতে দূরে থাক। আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ হয়ে এবং তার সাথে কোন শরীক না করে, এবং যে কেউ আল্লাহর শরীক সাবস্ত্য করল সে যেন আকাশ থেকে পতিত হল, অতঃপর পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল কিংবা বায়ু তাকে উড়িয়ে নিয়ে দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল। এটা আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে সেটাই তার মনের তাকওয়া। তাতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তোমাদের জন্য মানাবিধ কল্যান রয়েছে। অতঃপর তাদের কোরবানীর স্থান প্রাচীন গৃহের নিকটে। -(সূরা হজ্জ: ২৬-৩৩)
তার উটকে করেছি আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। তোমাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ। সুতরাং সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ওগুলোর উপর তোমরা আল্লাহর নাম লও (যাবেহর সময়)। যখন ওরা (উটসমূহ) কাত হয়ে পড়ে যায় তখন তোমরা তা থেকে আহার কর এবং আহার করাও ধৈর্যশীল অভাবগ্রস্তকে, ও যাঞ্চাকারী অভাবগ্রস্তদেরকে, এভাবেই আমি তাদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছি যাতে তোমরা শোকরগুজার হও। ওগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর নিকট পৌঁছে না বরং পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন যাতে তোমরা আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর এজন্য যে, তিনি তোমাদের (সৎ) পথ প্রদর্শন করিয়েছেন। সুতরাং তুমি সুসংবাদ দাও সৎকর্মপরায়নদেরকে।(সূরা হজ্জঃ ৩৬-৩৭)
0 Comments