প্রঃ এহরামের মোবাহ কি কি?
উঃ ১) পানি কিম্বা সাবুন মিশ্রিত পানি দ্বারা গোসল করা, কিন্তু শরীরের ময়লা দূর না করা মোস্তাহাব বরং পাকি লাভ বা ধূলি ও গরমি দূর করার ধারনায় গোসল করিবে।
২) পানিতে ডুব দেওয়া।
৩) হাম্মামে দাখিল হওয়া এবং গরম পানিতে গোসল করা।
৪) পাকি কিম্বা পরিচ্ছন্নতার নিয়তে কাপড় ধৌত করা, কিন্তু ইহাতে উকুন মারার বা সৌন্দযের নিয়ত করিবে না।
৫) অঙ্গুরী হাতে দেওয়া।
৬) তরবারি গলায় ধারণ করা।
৭) সঙ্গত কারণে শত্রুর সহিত সংগ্রাম করা।
৮) কোমরে থলিয়া বা কোমরবন্দ বাঁধা।
৯) কোন গৃহ, তাবু, শামিয়ানা, প্রাচীর, পর্ব্বত বা উটের শিবিকার উপস্থিত পরদার ছায়া গ্রহণ করা, কিন্তু যদি উহা তাহার মস্তক ও চেহারায় লাগে তবে মকরুহ হইবে।
১০) সুগন্ধি না হয় এইরূপ সুরমা ব্যবহার করা।
১১) মেসওয়াক্ করা।
১২) দাঁত তুলিয়া ফেলা।
১৩) ফোড়া কাটা।
১৪) নিজের হাত বা অপরের হাত মস্তক কিম্বা নাকে রাখা
১৫) থুৎনীর নীচের দড়ি, দুই কান এবং ঘাড় ঢাকা।
১৬) ভঙ্গ হাড়ের উপর পটি বাঁধা।
১৭) মস্তক, দাড়ি এবং শরীর, চুল উঠিয়া যাওয়ার বা উকুন পড়িয়া যাওয়ার ভয় হইলে, আঙ্গুলের পেট দিয়া নরমে নরমে চুলকান। আর যদি উহার আশঙ্কা না থাকে, তবে জোরে চুলকাইয়া রক্তপাত করিলেও কোন দোষ হইবে না।
১৮) মস্তকে বস্তা দেগ বা কাষ্ঠ বহন করা।
১৯) যে পশু হালাল স্থানে হালাল ব্যক্তি শীকার ও জবাহ করিয়া থাকে ও কোন এহরামকারি ব্যক্তি উহার কোন প্রকার সাহায্য না করিয়া থাকে, উহা এহরাম অবস্থায় খাওয়া।
২০) যে সুগন্ধি খাদ্য বস্তু অগ্নিতে পাক করা হইয়া থাকে, উহা খাওয়া।
২১) ঘৃত, জয়তনু সরিষার তৈল বা কোন তৈল সুবাস না থাকে তৎসমস্ত এবং চর্বি খাওয়া।
২২) কোন যখমে তৈল দেওয়া।
২৩) হেরম শরিফ ব্যতিত হালাল স্থানের বৃক্ষ তাজা ও শুদ্ধ ঘাস কাটিয়া ফেলা।
২৪) যে কবিতায় কোন গোনাহ্ বা দোষ নাই, উহা পাঠকরা কিন্তু কৃৎসিত বা মন্দ কবিতা পাঠ প্রত্যেক অবস্থায় কঠিন হারাম। এইরূপ কার্য্যে ছদকা ও কোরবাণি ওয়াজেব না হইলেও তওবা করা ওয়াজেব।
২৫) বিবাহ করা বা দেওয়া।
২৬) উট, গরু, ছাগল মোরগ ও গৃহপালিত হাস জবাহ করা।
২৭) সর্গ বৃশ্চিক, গিরগিটি মশা মাছি ডাঁস মারিয়া ফেলা।
২৮) গোলামকে সঙ্গত কারণে মারা।
২৯) রৌদ্রের তাপ নিবারণ হেতু মস্তকে ছত্র ধারণ করা।
৩০) আরবের না'লাএন ব্যবহার করা যদি হিন্দুস্থানের এরূপ জুতা ব্যবহার করে যাহাতেই দুই পায়ের উপরিস্থ গিরা ঢাকিয়া ফেলে, তবে উহা জায়েজ হইবে না। আর যে জুতাতে উক্ত গিরা খোলা থাকে, উহা ব্যবহার করা জায়েজ হইবে, কিন্তু আরবের না'লাএন ব্যবহার করা সুন্নত।
পাঠক, ইহাতে বুঝা গেল যে, দিল্লীর নাগরা জুতা যাহাতে নায়ের উপরিস্থিত গিয়া ঢাকিতে পারে না, তাহা ব্যতীত অন্যান্য দ্বিখুস্থানের জুতা ব্যবহার করা জায়েজ হইবে না। আর যদি কেহ রা'লাএন না পায় এবং উপরোক্ত প্রকার জুতাও না পায়, তবে উক্ত জুতার যে অংশটুকু উক্ত গিরাকে ঢাকিয়া ফেলে, সেই পরিমাণ কাটিয়া ফেলিবে। শাঃ, বাঃ লোঃ টাঃ।
0 Comments