রসনার বিশ প্রকার বিপদ

        প্রিয় পাঠক-পাঠিকা। এখন আমি রসনার বিপদ সম্পর্কে যা' বর্ণনা করব তদ্বারাই রসনার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যাবে। রসনায় বিশ প্রকার বিপদ রয়েছে। তা  ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা গেল।

        রসনার প্রথম বিপদ: অনাবশ্যক বাক্য ব্যয় রসনার প্রথম বিপদ। পাঠক পাঠিকা। জেনে রাখবে, তোমাদের সর্বোত্তম অবস্থা হল রসনাকে সর্বপ্রকার বিপদাপদ থেকে রক্ষা করা। রসনা থেকেই পরনিন্দা, মিথ্যা কথা, বিবাদ-বিসম্বাদকারী বাক্য এবং কূটনামী ইত্যাদি বাক্যগুলো প্রকাশ পেয়ে থাকে। অবশ্য রসনার কোন কোন বাক্য এমনও হয়ে থাকে যা' ক্ষতিকর নয়। অন্য কোন মুসলমানের তাতে ক্ষতি বা অনিষ্ট হয় না। তবে যদি তুমি এই শ্রেণীর বাক্য ব্যয় কর তবে অন্ততঃ তোমার সময়ের অপচয় হয়। উপরন্তু তুমি তোমার রসনার এ কার্যের জন্য হিসাবের জিম্মায় পতিত হবে। যদি তুমি এসব অনাবশ্যক বাক্য ত্যাগ করে আল্লাহর চিন্তায় সময় ব্যয় কর তবে তোমার উপর আল্লাহর রহমত হতে পারে। যদি তুমি এ সময় তাসবীহ- তাহলীল, দোয়া-দরূদ ইত্যাদিতে কাল ক্ষেপন কর তবে তা' তোমার জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে; বরং এমন কত বাক্য রয়েছে যার বদৌলতে তোমার জন্য বেহেশতে সুন্দর প্রাসাদ নির্মিত হবে। পক্ষান্তরে অনাবশ্যক বাক্যে কোন উপকার নেই। চিন্তা করে দেখ এটা তোমার সামান্য ক্ষতি নয়। যে ব্যক্তি অতি উপকারী আল্লাহর যিকির ত্যাগ করে শুধুমাত্র বৈধ কাজে সময় নষ্ট করে তাতে তার উপকার হয় না এবং পাপ যদিও না হয় তবুও সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেননা আল্লাহর যিকিরের কল্যাণ সে হারিয়ে ফেলে। প্রশ্ন হতে পারে যে, কথা না বলে তবে নীরব থাকায় কি উপকার হবে? তার উত্তর এই যে, মুমিনের নীরবতা, সৎচিন্তা এবং গুপ্ত যিকিরেরই নামান্তর। হুযুরে পাক (দঃ) বলেছেন, কোন ব্যক্তির ধন-সম্পদের মূল বস্তু তার সময়। যখন সে প্রয়োজন ব্যতীত বাক্য ব্যয় করে এবং পরকালের জন্য পুণ্য সঞ্চয় না করে অথচ তার সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তবে সে অমূল্য সময় তার নষ্ট হয়ে গেল বলতে হবে। এজন্যই হুযুরে পাক (দঃ) বলেছেন যে, যা' কারও জন্য উপকারী নয় তা' ত্যাগ করাই তার ধর্মের পথে উত্তম কার্য। হাদীস শরীফে আছে, হযরত আনাস (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, ওহদের যুদ্ধে আমাদের একজন যুবক শহীদ হয়েছিল। আমরা তার উদরে প্রস্তর বাঁধা দেখতে পেলাম। আমরা মনে করলাম যে, ক্ষুধার তীব্রতা নিবারণের জন্য সে এভাবে উদরে প্রস্তর বেঁধেছিল। তার শোকাভিভূতা মাতা তার মুখমন্ডলের ধূলি মুছতে মুছতে বলতেছিল, হে বৎস। তুমি সন্তুষ্টচিত্তেই বেহেশতে প্রবেশ করেছ। তখন হুযুরে পাক (দঃ) বললেন, হে রমণী। তুমি কেমন করে জানতে পারলে যে, সে কখনও অনাবশ্যক কথা বলে নি? অত্র হাদীসের মর্মে বুঝা যাচ্ছে যে, মানুষের অনাবশ্যক বাক্যাবলীর হিসাব হবে।

         অন্য এক হাদীসে এসেছে, একদা হুযুরে পাক (দঃ) তাঁর ছাহাবী কা'ব (রাঃ) কে না দেখে তাঁর কথা জিজ্ঞেস করলেন। ছাহাবীগণ বললেন যে, তিনি অসুস্থ আছেন। একথা শুনে হুযুরে পাক (দঃ) পদব্রজে তাঁকে দেখতে গেলেন। তাঁর নিকট তাশরীফ নিয়ে তিনি বললেন, হে কা'ব! তোমার জন্য সুসংবাদ। সাথে সাথে হযরত কা'ব (রাঃ) এর মাতা বলে উঠলেন, হে পুত্র। তোমার জন্য বেহেশত। তখন হুযুরে পাক (দ) বললেন, এ রমণীটি কে? যে আল্লাহর উপর আদেশ জারী করছে? হযরত কা'ব (রঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। ইনি আমার মাতা। তখন হুযুরে পাক (দঃ) বললেন, হে কা'বের মাতা। তোমাকে কে জানাবে যে হয়ত কা'ব কখনও এমন বাক্য ব্যবহার করেছে কিনা, যাতে তার কোন প্রয়োজন ছিল না। অথবা এমন বিষয়ে কৃপণতা করেছে, যাতে তার কোন দরকার ছিল না। এ হাদীসের মর্মে বুঝা যাচ্ছে যে, যে ব্যক্তি অনাবশ্যক বাক্য ব্যয় করে না, সে সরাসরি বিনা হিসাবে বেহেশতে চলে যাবে। আর যে ব্যক্তি অনাবশ্যক বাক্য ব্যয় করে, সে বেহেশতে গেলেও তার রসনার বাক্যের হিসাব দিয়ে যেতে হবে।

        একদা হুযুরে পাক (দঃ) বললেন, এখন সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে বেহেশতী হবে। এ কথা বলার সাথে সাথেই বাইরে থেকে হযরত আবদুল্লাহ ইবনে সালাম ঐ দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলেন। ছাহাবীগণ হুযুরে পাক (দঃ) এর খানিক পূর্বের উক্ত কথাটি তাঁর কাছে প্রকাশ করে বললেন, ভ্রাতঃ! বলুন, আপনার এমন কি নেক আমল রয়েছে যদ্বারা আপনি এ মর্যাদা লাভ করেছেন? তিনি বললেন, আপনারা জানেন, আমি ত অত্যন্ত দুর্বল লোক। আমার এমন কোনই নেক আমল নেই। তবে আমি শুধু আল্লাহর নিকট সুস্থ আত্মা এবং অনাবশ্যক বিষয় ত্যাগ করবার প্রার্থনা সদা-সর্বদা পেশ করছি।

        হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) বলেন, একদা হুযুরে পাক (দঃ) আমাকে বললেন, হে আবু যর! আমি কি তোমাকে এমন কাজের সন্ধান দেব না যা' তোমার শরীরের পক্ষে লঘু কিন্তু পাল্লায় অতি ভারী? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন, তা' হল মৌনাবলম্বন, সৎস্বভাব এবং অপ্রয়োজনীয় বিষয় ত্যাগ। হযরত মুজাহিদ (রাঃ) বলেছেন, আমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, আমার নিকট পাঁচটি বিষয় ধন-সম্পদ সঞ্চয় থেকেও অধিক প্রিয়। যথাঃ (১) যে বাক্য আমার কোন উপকারে আসবে না তা' আমি ত্যাগ করি। কেননা তা প্রয়োজনীয় এবং তাতে পাপলির হবার আশঙ্কা থাকে। (২) যে বাকা বাবার আমার জন্য উপকারী তাও সানি বন্ধ্যযোগ্য স্থান ব্যাতীত প্রয়োগ করি না। কেননা অনেক উপকারী বিষয়ও অনুপযুক্ত স্থানে নিরর্থক এবং ক্ষতিকর হয়ে যায়। (৩) আমি কোন ধৈর্যশীল এবং নির্বোধের বাবে তর্ক করি না। কেননা ধৈর্যশীল লোকের সাথে তর্ক করলে তাকে চোবাহিত করা হয় এবং নির্বোধের সাথে তর্ক করলে অযথা কষ্ট পেতে হয়। (৪) যখন প্রথার কস্তু আমার নিকট থেকে অনুপস্থিত থাকে তখন আমার অনুপস্থিতিতে আমার বন্ধু জাহার সরতে যে কথা বলা আমি ভালবাসি "সে আমাকে ক্ষমা করুক তা' আমি যেরূপ ভালবাসি তরূপ আমিও তাকে ক্ষমা করতে ভালবাসি। আমার ভ্রাতা আমার সাথে উত্তম ব্যবহার করুক এটা যেরূপ আমি ভালবাসি তদ্রূপ আমিও তার সাথে উত্তম ব্যবহার করতে ভালবাসি। এবং (৫) আমি ঐ লোংকের ন্যায় কার্য করি, যে জানে যে, সে উপকারমূলক কাজের জন্য পুরস্কার পাবে এবং আপকারমূলক কাজের জন্য শাস্তি পাবে।দএকদা হাকীম লোকমানকে বলা হয়েছিল, আপনি কিছু হেকমতের কথা বলুন। তিনি বললেন, বা আমি নিজেই জানি তা' কখনও অন্যের নিকট জিজ্ঞেস করি না। যে কথায় আমার কোন উপকার হবে না, তা আমি বলি না। হযরত মুয়াররাক আজলী (রহঃ) বলেছেন, বিগত বিশ বছর ধরে আমি একটি বিষয়ের চেষ্টা করছি কিন্তু সফল হতে পারি নি। কিন্তু ব্যর্থ হয়েও সে চেষ্ট। আমি পরিত্যাগ করি নি। লোকগণ জিজ্ঞেস করল, সেটা কি জিনিস? তিনি বললেন, অনাবশ্যক কথা থেকে নীরব থাকা।

        হাযরত ওমর (রাঃ) বলেছেন, তোমরা অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে তর্ক করো না। শত্রুকে সর্বদা দূরে রেখ। আর বিশ্বস্ত বন্ধু ব্যতীত অন্যান্য লোক থেকে সতর্ক থেকো। তবে জেনে রাখ, আল্লাহয় ভয় যার দিলে নেই সে কিন্তু বিশ্বস্ত বন্ধু নয়। পাপীর সাথে সংসর্গ করো না। কেননা তাতে তার পাপ তোমার মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। আর তুমি এ ব্যাপারে সর্বদা সতর্ক লেকো, কেউ যেন তোমার প্রয়োজনীয় গুপ্ত বিষয় জানতে না পারে। যারা আল্লাহকে ভয় করে তাদের সাথে তোমার প্রয়োজনীয় বিষয় পরামর্শ করো।

        যে অনাবশ্যক কথার বর্ণনা উপরে উল্লেখ করা হল তা' এমন কথা যা' না বললে কোন গুনাহ হয় না এবং ইহ-পারলৌকিক কোন অনিষ্ট হয় না সে কথাগুলোর উদাহরণ নিম্নে প্রদত্ত হল। মনে কর তুমি বহু লোকের মধ্যে বসে তোমার ভ্রমণের গল্প শুরু করেছ। পাহাড়-পর্বত যা' লেখেস্ত ও ভ্রমণকালে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা' তুমি বর্ণনা করছ। যে উপাদেয় খাদ্যসমূহ ভক্ষণ করেছ বা ভ্রমণকালে যে সমস্ত পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করেছ তা' তাদেরকে শুনাচ্ছ। যেসব মহা পুরুষদের সাথে তোমার সাক্ষাত হয়েছে বা তাদের আশ্চর্য কার্যকলাপ দেখেছ তা' বর্ণনা করছ। এসব ব্যাপার বর্ণনা না করে যদি তুমি নীরব থাক তাহলে তোমার কোন পাপ হবে না। তোমার কোনরূপ অনিষ্টও হবে না। আর যদি তা' বর্ণনা করে কোনরূপ অতিরিক্ত কথা না বল যা বর্ণনায় কোনরূপ ভুল-ত্রুটি না কর, যদি বর্ণনার মধ্যে কোনরূপ পরনিন্দা না কর, জান্নাহর সৃষ্টিজগত সম্পর্কে কোনরূপ কটূক্তি না কর তা' হলেও তোমার ভ্রমণ কাহিনী বলে তুমি যে সময় নষ্ট করেছ তা' মূল্যবান সময়ের অপচয়ই বলতে হবে এবং উল্লিখিত বিপদ থেকে নিরাপদ হবে না। মোটকথা যা' অনাবশ্যক তা' থেকে তুমি যেমন বিরত থাকবে, তোমার বন্ধু বা অন্যান্যকেও বিরত রাখবে। অনাবশ্যক বিষয় তুমি অন্যকে জিজ্ঞেস করো না। কেননা এই বাক্যে তোমার নিজের সময় নষ্ট হয় এবং তোমার বন্ধুর নিকট জিজ্ঞেস করে তার সময়ও নষ্ট করা হয়।

        মনে কর, তুমি তোমার বন্ধুর নিকট জিজ্ঞেস করছ, তুমি কি রোযা আছ? সে যদি বলে, রোযা আছি। তাতে তার ইবাদাতের কথা প্রকাশ পেল। তার এই প্রকাশের মধ্য দিয়ে রিয়া চলে আসতে পারে। যদি রিয়া নাও আসে, তবু ইবাদাত তার গুপ্ত ভান্ডার থেকে বের হয়ে মানুষের গোচরে এসে গেল। অথচ ইবাদাত প্রকাশ পাবার চেয়ে গুপ্ত থাকার ফজীলত অনেক বেশী। পক্ষান্তরে সে যদি রোযা রেখেও বলে রোযা নেই, তাহলে সে মিথ্যাবাদী হবে। আর যদি উক্ত প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে নীরব থাকা হয়, তবে তদ্বারা প্রশ্নকর্তার প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পাবে এবং সে তাতে মনে কষ্ট পাবে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে একটি প্রশ্ন করে তাকে রিয়া, মিথ্যা অথবা অন্যের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন প্রভৃতি কাজগুলোর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে যদি কাউকে তার ইবাদাত সম্বন্ধে জিজ্ঞেস না করে পাপ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করা হয় তাহলেও ঠিক একই অবস্থা হবে।

        যদি তুমি জিজ্ঞেস কর, তুমি কি বল, তুমি কি করছিলে, তাহলেও তা' অনর্থক বাক্য হবে। পথে দেখা হলে যদি জিজ্ঞেস কর, কোথা হতে এসেছ? তাহলেও অনর্থক বাক্য হবে। কোথা থেকে এসেছ, এই প্রশ্নের অনেক সময় উত্তর দেয়া যায় না। কেননা সে তা' বললে তাতে প্রশ্নকারীর কষ্ট হতে পারে বা সে লজ্জিত হতে পারে। আর যদি সে সত্য না বলে মিথ্যা বলে, তবে মিথ্যার দোষে দোষী হবে। এ দোষের যিম্মাদার প্রশ্নকারীই হবে। যেসব প্রশ্নে তোমার কোন উপকার নেই, আবার অনেক সময় জিজ্ঞাসিত ব্যক্তির তার উত্তরদানেও ক্ষতি নেই। তদ্রূপ প্রশ্ন করা অনাবশ্যক প্রশ্নের শামিল।

        উল্লিখিত বিষয়গুলোই অনর্থক বাক্য। এগুলোই কোন না কোনভাবে পাপ এবং অনিষ্টের দিকে নিয়ে যায়। কথিত আছে যে, একবার হাকীম লোকমান হযরত দাউদ (আঃ) এর নিকট গমন করলেন। তিনি গিয়ে তাঁকে দেখলেন, তিনি বর্মে ব্যবহার্য বস্ত্র বয়নে রত আছেন। কিন্তু হাকীম লোকমান তাঁকে ইতোপূর্বে আর কখনও এ কাজ করতে দেখেননি। অতএব তিনি কিছুটা আশ্চর্যান্বিত হয়ে এ বিষয়ে নবীর নিকট জিজ্ঞেস করবার জন্য মনস্থ করলেন। কিন্তু তাঁর জ্ঞান তাঁকে এই প্রশ্ন করা থেকে ফিরিয়ে রাখল। তখন তিনি তাঁকে এ বিষয়টি জিজ্ঞেস করা থেকে ধৈর্য ধরে বিরত থাকলেন। কিছুক্ষণ পর হযরত দাউদ (আঃ) তাঁর কাজ থেকে অবসর হয়ে উঠে দাঁড়ালেন। কিন্তু তাঁর মনে স্বাভাবিকভাবেই একটি কথা জাগল যে হয়ত লোকমানের মনে আমার এ কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন জেগেছে। এ কথা মনে জাগ্রত হবার ফলে তিনি হাকীম লোকমান তাঁর নিকট প্রশ্ন না করা সত্ত্বেও নিজের থেকেই বললেন, যুদ্ধে ব্যবহৃত ঢালের জন্য এ কাপড় তৈরী করা হচ্ছে। হাকীম লোকমান বলেছেন যে, মানুষের নীরব থাকাই ধর্মবিধান কিন্তু খুব কম লোকই তা' পালন করে।

        যদি প্রশ্নের উত্তরে কোন অনিষ্ট না থাকে বা তদ্বারা কোন গোপন বিষয় ভঙ্গ না করা হয়, কোনরূপ রিয়া বা মিথ্যায় জড়িত না হতে হয়, তবে তা-ও অনাবশ্যক কথায় গণ্য হবে। সুতরাং তা-ও ত্যাগ করা ইসলামের সৌন্দর্যের অন্তর্গত।

Post a Comment

0 Comments