আত্মার দিকে শয়তানের প্রবেশ পথ


            উল্লেখ্য যে, আত্মা একটি দুর্গসদৃশ এবং শত্রু শয়তান যে দুর্গে প্রবেশ করে তা' করায়ত্ত করাত। তার উপর কর্তৃত্ব করবার আকাঙক্ষী। সে শত্রু থেকে আত্মরক্ষা করতে হলে আত্মারূপ দুর্গের দরজা, প্রবেশ পথ এবং তার ছিদ্রের স্থানসমূহ পাহারা দেয়া ব্যতীত তা' রক্ষা করা যাবে না। তবে যে ব্যক্তি আত্মার দরজা ইত্যাদির খবর রাখে না তার পক্ষে তা' পাহারা দেয়া সম্ভব নয়। অথচ শয়তানরূপ শত্রু থেকে আত্মারূপ দুর্গকে রক্ষা করা প্রত্যেক বয়স্ক লোকের প্রতি ওয়াজিব। বরং তা' ফরজে আইন বা অবশ্য পালনীয় কাজ। এ কর্তব্য পালনের যেসব উপাদান দরকার, তাও ওয়াজিব। শয়তান দূর করা যাবে না, যে পর্যন্ত না আত্মারূপ দুর্গের প্রবেশ পথের পরিচয় পাওয়া যায়; সুতরাং এ প্রবেশ পথের পরিচয় লাভ করাও ওয়াজিব। শয়তানের প্রবেশ পথ এবং দরজাসমূহের অর্থ বান্দার প্রকৃতি ও স্বভাব-চরিত্র এবং তা' অসংখ্য। তবে আমরা এমন বড় বড় দরজাগুলোর কথা উল্লেখ করব, যার মধ্য দিয়ে শয়তানের অধিক সৈন্য প্রবেশ করলেও তা সংকীর্ণ হয় না।

শয়তানের প্রবেশ পথের পরিচয়

        (ক) ক্রোধ ও কামরিপুঃ শয়তানের প্রবেশ পথের একটি দরজা ক্রোধ ও কামরিপু। ক্রোধ বুদ্ধিকে ছোট করে। যখন বুদ্ধিরূপ সৈন্যদল দুর্বল হয় তখন শয়তানের সৈন্যদল হামলা করে। যখনি কোনলোক ক্রোধান্বিত হয়, শয়তান তাকে নিয়ে খেলা করে। বর্ণিত আছে যে, হযরত মুসা (আঃ) এর নিকট একদা ইবলীস উপস্থিত হয়ে তাঁকে বলল, হে মুসা। আল্লাহ তোমাকে তাঁর নবুয়তের জন্য মনোনীত করেছেন এবং তিনি তোমার সাথে অনেক কথা বলেছেন। আমি আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে একটি সৃষ্টজীব। আমি গুনাহ করেছি এবং তাওবাহ করতে ইচ্ছে করি।। আমার প্রভুর নিকট আমার জন্য সুপারিশ করো, যেন তিনি আমার তাওবাহ কবুল করেন। তখন হযরত মুসা (আঃ) বললেন, আচ্ছা আমি করব। যখন তিনি পর্বতের উপর আরোহণ করে স্বীয় প্রভুর সাথে কথাবার্তা বলে পর্বত থেকে অবতরণ করতে উদ্যত হলেন, তখন সে তাঁকে বলল, তুমি তোমার আমানত আদায় কর (অর্থাৎ ওয়াদাহ পালন মুসা (আঃ) বললেন, হে মাবুদ। তোমার বান্দা ইবলীস আকাঙক্ষা কর তাওবাহ কবুল কর। তখন রাহতায় কর (।) তখন হযরত করছে যে, তুমি তুমি তার বলা হে মূসা। তুমি আদমের বললেন, সিকে মের কবরে সিজদাহ দিয়ে তাওবাহ করতে বল। তারপর হযরত মুসা (আঃ) এর সঙ্গে ইবলীসের সর সাক্ষাত প্রয়োজন করে এসেছি। তুমি হযরত আদমের পূর্ণ হলে তিনি তাকে বললেন, আমি তোমার প্রয়ে কবরকে সিজদাহ করে তোমার প্রভুর নিকট তাওবাহ কর। তাহলে তিি তিনি তো তোমার তাওবাহ কবুল করবেন। একথা শুনে ইবলীস অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে চরম ঔদ্ধত্যের সাথে বলল, আদমের জীবিতাবস্থায় তাকে আমি সিজদাহ করি নি। তার মৃত্যুর পর এখন তার কবর বরকে সিজদাহ করব। তা' আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

        অতঃপর সে হযরত মুসা (আঃ) কে বলল, হে মুসা (আঃ)। তুমি আমার জন্য আল্লাহর নিকট সুপারিশ করেছ তজ্জন্য তোমার প্রতি আমার একটি কর্তব্য আছে। তিনটি সময় তুমি আমাকে স্মরণ করো। আমি তখন তোমার কোন অনিষ্ট করব না। (১) যখন তোমার ক্রোধ হয় আমাকে স্মরণ করবে। কেননা আমার প্রাণ তোমার আত্মার মধ্যে। আমার চক্ষু তোমার চক্ষুর মধ্যে এবং রক্ত চলাচলের ন্যায় আমি তোমার মধ্যে চলাচল করি। যখন তোমার ক্রোধ হয় তখন আমাকে তুমি স্মরণ করবে। কেননা কারও ক্রোধ উপস্থিত হলে আমি তার নাকে ফুৎকার দেই। তখন সে কি করবে বা কি ঘটাবে তা' সে নিজেই বুঝতে পারে না। ( (২) তুমি যখন কোন যুদ্ধে যোগদান কর তখন আমাকে স্মরণ করবে, কেননা আমি যুদ্ধের সময় আদম সন্তানের নিকট উপস্থিত হই এবং যোদ্ধা ব্যক্তির স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি ও পরিজনবর্গকে তার স্মরণ পথে জাগিয়ে দেই। তার ফলে সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়। (৩) তুমি কখনও এমন স্ত্রীলোকের পার্শ্বে বসবে না যাকে বিবাহ করা যায়। কেননা আমি তার প্রেরিত দূতস্বরূপ তোমার নিকট অবস্থান করব এবং তার নিকট তোমার প্রেরিত দূতস্বরূপ থাকব। যে পর্যন্ত তার দ্বারা তোমাকে বিপদে ফেলতে না পারি এবং তোমার দ্বারা তাকে বিপদে ফেলতে না পারি সে পর্যন্ত আমি ক্ষান্ত হই না। এ ঘটনাটি থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ক্রোধ ও কামরিপু মানুষের জন্য মারাত্মক বস্তু। জিহাদ থেকে পলায়ন দুনিয়ার প্রতি মোহের কারণেই হয়ে থাকে। আর আদমকে মৃতাবস্থায় সিজদাহ করা থেকে পিছিয়ে যাওয়া তার হিংসা ও অহঙ্কারেরই ফল। মূলতঃ ক্রোধ, কাম, মোহ এবং হিংসা প্রভৃতি শয়তানের দরজা। 

        বর্ণিত আছে যে, জনৈক অলীআল্লাহ ইবলীসকে বলেছিলেন, তুমি কিভাবে আদমসন্তানের উপর আধিপত্য কর তা' আমাকে বল। সে বলল, ক্রোধের সময় আমি তার উপর আধিপত্য করি। বর্ণিত আছে যে, ইবলীস জনৈক সংসারত্যাগী ব্যক্তির নিকট উপস্থিত হলে তিনি শয়তানকে বললেন, তোমার নিকট আদম সন্তানের কোন স্বভাবটি অধিক সাহায্যকারী। শয়তান বলল, উগ্র মেজায। কেননা কোন লোকের যখন মেজায় উগ্র হয় তখন আমি তাকে এভাবে ওলট-পালট করতে পারি যেভাবে কোন বালক তার খেলার পুতুলকে ওলট-পালট করে। বর্ণিত আছে যে, শয়তান বলে থাকে, আদম সন্তান কি করে আমার উপর প্রবল হবে? যখন সে সন্তুষ্ট থাকে তখন আমি তার আত্মার মধ্যে থাকি। যখন তার ক্রোধ আসে তখন আমি তার মস্তকের মধ্যে চলে যাই।

        হিংসা-বিদ্বেষ ও লোভ শয়তানের একটি বড় দরজা: যখনই কোন ব্যক্তি কোন জিনিসের প্রতি লালসা করে তখন তা' তাকে অন্ধ ও বধির করে দেয়। কেননা হুযুরে পাক (দঃ) বলেছেন, কোন জিনিসের প্রতি তোমার ভালবাসা তোমাকে অন্ধ ও বধির করে। অন্তর্দৃষ্টির নূরই শয়তানের এই দরজা বা প্রবেশ পথের পরিচয়ের বিষয়ে অবগত আছে। যখন মানুষকে হিংসা-বিদ্বেষ আচ্ছন্ন করে ফেলে সে তখন কোনকিছুই দেখতে পায় না। এ সুযোগে শয়তান লোভী ব্যক্তির নিকট তার লোভের বিষয়গুলো সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়ে আসে এবং তাদের নানারূপ প্রশংসা করতে থাকে। যার ফলে সে তার লালসায় পূর্ণরূপে নিমজ্জিত হয়। যদিও সে কাজ তার জন্য অত্যন্ত অশ্লীল ও নিন্দনীয় হয়।

        বর্ণিত আছে যে, হযরত নূহ (আঃ) তার নৌকোয় আরোহণ করবার সময় আল্লাহর আদেশানুযায়ী প্রত্যেক বস্তুর এক এক জোড়া নৌকোয় নিয়ে গেলেন। নৌকোর মধ্যে এক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে দেখতে পেয়ে তাকে চিনতে না পেরে বললেন, হে বৃদ্ধ। তুমি কেন এসেছ? সে বলল, তোমার সঙ্গীদের হৃদয়কে বিপদাপন্ন করবার জন্য এসেছি। আমার উদ্দেশ্য এই যে, তাদের হৃদয় যেন আমার সঙ্গে থাকে এবং বাহ্যিক শরীর তোমার সঙ্গে থাকে। হযরত নূহ (আঃ) এবার তাকে চিনতে পেরে বললেন, হে আল্লাহর শত্রু। তুমি বের হয়ে যাও। কেননা তুমি অভিশপ্ত। তখন ইবলীস তাকে বলল, দেখ, আমি পাঁচটি বস্তু দ্বারা মানুষকে ধ্বংস করব। তন্মধ্যে তিনটি আমি শীঘ্রই তোমার নিকট ব্যক্ত করব। কিন্তু দুটোর কথা বলব না। তখন আল্লাহতায়ালা হযরত নূহ (আঃ) এর নিকট অহী প্রেরণ করলেন, ওর কাছ থেকে তিনটি বস্তুর কথা জেনে তোমার লাভ নেই। বাকী দুটোর কথা তুমি তাকে বলতে বল। তখন হযরত নূহ (আঃ) শয়তানকে বললেন, তুমি যে তিনটি বিষয় ব্যক্ত করতে চাও তা' ব্যক্ত করবার প্রয়োজন নেই; বরং যে দুটো বিষয় ব্যক্ত করতে চাইছ না সে দুটো বিষয় কি জিনিস তা-ই বল। তখন ইবলীস বলল, সে দুটো জিনিস দ্বারাই আমি অধিক সংখ্যক লোককে ধ্বংস করি, তা' লোভ- লালসা এবং হিংসা-বিদ্বেষ। হিংসা-বিদ্বেষের জন্যই আমাকে লা'নত করা হয়েছে এবং আমাকে বিতাড়িত শয়তান করা হয়েছে। আর লোভ-লাসসার কথা শোন। একটিমাত্র বৃক্ষ ব্যতীত বেহেশতে আদমের জন্য সমস্ত বৃক্ষই হালাল করা হয়েছিল। তখন সে বৃক্ষের ফলের প্রতিই আমি তার মনে লোভ-লালসা সৃষ্টি করে দিয়ে আমার আশা পূর্ণ করেছি। তৃপ্তি সহকারে আহার্য ভক্ষণঃ শয়তানের আর একটি বড় দরজা হল তৃপ্তি সহকারে খাদ্য ভক্ষণ করা যদিও তা' হালাল ও পবিত্র হয়। কেননা তৃপ্তি সহকারে খাদ্য ভক্ষণ কামরিপুকে শক্তিশালী করে এবং কামরিপুই শয়তানের একটি বড় হাতিয়ার।

        বর্ণিত আছে যে, শয়তান একবার হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) এর নিকট এলে তিনি শয়তানের দেহ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বলিষ্ঠ এবং হৃষ্টপুষ্ট দেখে বললেন, হে ইবলীস! তোমার দেহ ও অঙ্গ- প্রত্যঙ্গগুলোর এত বলিষ্ঠতার কারণ কি? সে বলল, আক্রমণকারী কাম রিপুই এর কারণ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমার মধ্যেও তার কিছু আছে কি? শয়তান বলল, অনেক সময় তুমি তৃপ্তির সাথে খাদ্য ভক্ষণ কর এবং তদ্বারা আমি তোমাকে নামায পড়তে ভারী বোধ করিয়ে দেই এবং তোমাকে আল্লাহর যিকির থেকে অন্যমনষ্ক করি। হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন, এছাড়া আরও কিছু আছে কি? শয়তান বলল, না আর কিছু নেই। তখন হযরত ইয়াহইয়া (আঃ) বললেন, আল্লাহর কসম আজ থেকে আর কোনদিন আমি উদর পূর্ণ করে আহার করব না। তার কথা শুনে ইবলীস বলল, তাহলে আমিও আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, এরপর আমি আর কোনদিন কোন মুসলমানের নিকট কোন উপদেশের কথা বলব না তৃপ্তিপূর্ণ ভক্ষণের অনিষ্টকারিতাঃ উদরপূর্ণ ভোজনে ছ'টি নিকৃষ্ট দোষ জন্মে। যথাঃ (১) এরূপ লোকের হৃদয় থেকে আল্লাহর ভয় দূর হয়ে যায়। (২) তার হৃদয় থেকে মানুষের প্রতি করুণা বিলীন হয়। কেননা সে ভাবে যে, তারা সবাই তার মত তৃপ্তি সহকারে ভক্ষণ করে। (৩) এ প্রকার লোকের ইবাদাতে কষ্ট হয়। (৪) যখন এরূপ ব্যক্তি কোন শিক্ষামূলক বা জ্ঞান- বুদ্ধিজনিত বাক্য শুনে তার প্রতি এরূপ ব্যক্তির মন আকৃষ্ট হয় না। (৫) এরূপ লোকে যখন ওয়াজ-নসীহত করে শ্রোতার হৃদয়ে তা' তাছির করে না। (৬) এরূপ লোকের নানাবিধ মানসিক রোগ দেখা দেয়।।

            বিলাসিতা ও মনোরম সাজ-সরঞ্জামের আসবাবপত্রঃ শয়তানের জন্য বড় দরজাগুলোর আর একটি হল সাজ-সরঞ্জাম ও উৎকৃষ্ট পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘর-বাড়ী এবং আসবাবপত্র, সুন্দর ও সুসজ্জিত রাখা ভালবাসা। শয়তান যখন এ অবস্থাটি মানুষের অন্তরে প্রবলরূপে দেখতে পায় তখন সে এই অবস্থার মধ্যে একটি ডিম্ব পেড়ে দেয় এবং তাতে বাচ্চা প্রসব করে। তখন কেউ কেউ গৃহের সৌন্দর্য, চাকচিক্য, ছাদ এবং অট্টালিকা প্রশস্ত এবং বৃহৎ করে তোলে। পোশাক- পরিচ্ছদে সৌখিনতা আনয়ন করে এবং পার্থিব যাবতীয় বিষয় ব্যাপারেই এভাবে সাজ-সজ্জা, জাঁকজমক ও অত্যধিক সৌন্দর্য বর্ধনের দিকে পুরাপুরিভাবে মনোনিবেশ করে। যতদিন পর্যন্ত তার মৃত্যু ঘনিয়ে না আসে ততদিন সে এগুলো নিয়েই ব্যস্ত থাকে। যার ফলে অন্তিম সময়ে ঈমান নষ্ট হয়ে কুফরীরও আশঙ্কা থাকে। আল্লাহর নিকট আমরা এ অভ্যাস থেকে আশ্রয় প্রথনা করছি।

         মানুষের প্রতি নির্ভর করা এবং মুনিয়াবী আশায় মত্ত হওয়াঃ শয়তানের আর একটি বড় দরজা হল মানুষের নিকট আশা-ভরসা করা। যখন লোভ-লালসা হৃদয়মধ্যে প্রবলাকার ধারণ করে তখন শয়তানের কুমন্ত্রণায় অত্যধিক সাজ-সজ্জা এবং কৃত্রিমতা তার নিকট প্রিয় হয়ে করে তখন যায়। এজন্য অনেক ক্ষেত্রেই তাকে মানুষের কাছে আশা-ভরসা করে এবং মানুষের দ্বারা প্রয়োজনীয় উদ্ধার কা করে তার এই এই কৃত্রিম ও অহেতুক কাজগুলো সমাধা করতে হয়।

         এ কাজে যারা অভ্যন্ত হয়ে পে পড়ে তাদের প্রায় প্রবে কৃত্রিমতা নিহিত থাকে। প্রকৃতির লোকগণ কখনও কখনও তাদের পার্থিব স্বার্থ-সিদ্ধির জন্য প্রত্যেকেরই মধ্যে রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা এবং কোন কোন লোকের নিকট গিয়ে এমনভাবে ধর্ণা দেয় যা' তার জন্য হেয়ত্য ও নীরতার পরিচায়ক। যেমন তার ক্ষুদ্র স্বার্থ সিদ্ধির জন্য এরূপ লোকের গুণ কীর্তন ও প্রশংসা করতে থাকে যার মধ্যে প্রশংসা পাবার এতটুকু যোগ্যতা বা গুণের কোন বালাই নেই। 

        হযরত সাফওয়ান বিন সোলায়েম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে, একদা ইবলীস একজন মানুষের রূপ-ধারণ করে হযরত আবদুল্লাহ বিন হানযালাহ (রহঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে তাকে বলল, হে ইবনে হানযালাহ। তোমাকে আমি একটি কথা শিখিয়ে দিচ্ছি। কথাটি তুমি স্মরণ রেখ। তিনি বললেন, তাতে আমার কোন দরকার নেই। ইবলীস বলল, আগে আমার কথাটি শোন। যদি ভাল মনে কর স্মরণ রেখ নতুবা ছুঁড়ে ফেলে দিও। আমার কথাটি এইঃ হে হানযালাহ। আল্লাহ ব্যতীত কারও নিকট কিছু আশা করে প্রার্থনা করো না। আর যখন তোমার ক্রোধ আসে তখন তোমার অবস্থা কিরূপ হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য কর। কেননা যখন তোমার ক্রোধ আসে তখন কিন্তু আমি তোমার উপরে কর্তৃত্ব গ্রহণ করি।

Post a Comment

0 Comments