৯ই জিলহাজ্জের কি কি কার্য্য করতে হয়

   
        ১) মক্কা শরিফে ৭ই জিলহাজ্জ তারিখে জোহরের পরে এমাম খোৎবা পড়িয়া উহাতে হজ্জের আহকাম প্রকাশ করেন, উহা শ্রবণ করা উত্তম।

    2) আরাফার দিবস অর্থাৎ ৯ই জিলহাজ্জ তারিখে মছজিদে। নামেরাতে এমাম জোহরের অগ্রে দুই খোৎবা পড়েন।

    ৩)১১ই জিলহাজ্জে মিনা নামক স্থানে জোহরের পরে এক খোৎবা পড়িয়া হজ্জের আহকাম উল্লেখ করেন। 

        এই সমস্ত খোৎবা পাঠ চুন্নত, প্রত্যেক প্রকার খোৎবা শ্রবণ। কালে চুপ করিয়া থাকা ওয়াজেব।

মক্কা শরিফ হইতে এহরাম বাঁধার নিয়ম

        যে ব্যক্তি মক্কা শরিফ হইতে হজ্জের এহরাম বাঁধার নিয়ত করে তাহাকে ৮ই জিলহাজ্জ কিম্বা উহার অগ্রে গোসল করিয়া, আর গোসল করিতে না পারিলে, ওজু করিয়া খোশবু মালিশ করিয়া চাদর ও তহবন্দ পরিতে হইবে, তৎপরে মছজিদে দাখিল হইয়া সাতবার তাওয়াফ করিতে হইবে, ইহাকে তাহিয়াতোল মছজিদের তাওয়াফ বলা হয়।

        তৎপরে দুই রাকয়াত ওয়াজেবোত্তাওয়াফ নামাজ পড়িয়া মস্তক ঢাকা অবস্থায় দুই রাকয়াত ছুন্নাতোল এহরাম নামাজ পড়িবে, উক্ত চারি রাকয়াত নামাজ যেন মকরুহ ওয়াক্তে না পড়া হয়। তৎপরে মস্তক খুলিয়া দাঁড়াইবার অগ্রে বসিয়া এহরামের নিয়ত করিবে, মছজিদোল হারামে বিশেষতঃ মিজাবের নীচে এই এহরামের নিয়ত করা উত্তম, আর যদি তথায় কেহ নিয়ত না করিয়া নিজের ঘরে বা বাসায় নিয়ত করে, তবে তাহাও জায়েজ হইবে।

         আর যদি তাওয়াফকে জিয়ারতের পূর্বে হজ্জের জন্য ছাফা ও মারওয়ায় সওত করিতে ইচ্ছা করে, তবে এহরামের হজ্জের পরে নফল তাওয়াফ করিবে, এই তাওয়াফের সাত শত্ততে এজাতেবা' করিবে, প্রথম তিন শওতে ত্রস্ত ভাবে চালিবে, তৎপরে মারওয়ার শণ্ডত করা উত্তম।

৮ই জিলহাজ্জের কার্য্য

        উক্ত তারিখে সূর্য্য উদয় হওয়ার পরে হজ্জের এমাম লোকের সঙ্গে মিনার দিকে রওয়ানা হইবেন, তথায় সেই দিবস থাকিয়া জোহর, আছর, মগরেব, এশা ও ফজর পড়িবেন। যদি তাহারা সূর্য্য গড়িয়া যাওয়ার পরে মক্কা শরিফ হইতে মিনার দিকে রওয়ানা হয়, তবে মিনায় গিয়া জোহর পড়িলে কোন দোষ হইবে না।

        যদি ৮ই তারিখে জোমার দিবস হয় তবে সূর্য্য গড়িয়া যাওয়ার পূর্ব্বে মিনার দিকে রওয়ানা হইতে পারে, আর সূর্য্য গড়িয়া গেলে জোমা না পড়িয়া বাহির হওয়া মকরুহ।

        যদি কেহ উক্ত রাত্রে মিনাতে না থাকিয়া মক্কা শরিফ বা আরফাত ময়দানে থাকে, তবে দোষের কার্য্য হইবে।

        যদি ৮ই তারিখে আরফাত ময়দানে উপস্থিত হয়, তবে কয়েকটা ছুন্নত ত্যাগ করার জন্য গোনাহ হইবে।

        যদি কেহ উক্ত ৮ই দিবাগত রাত্রে নিম্নক্তো দোয়াটী হাজার বার পড়িয়া কোন মতলব চাহে, যদি উহা আত্মীয় বিচ্ছেদ ও গোনা করার কামনা না হয়, তবে আল্লাহতায়ালা তাঁহার দোয়া কবুল করিবেন।

        দোয়াটী এই

سبحان الذي في السَّمَاءِ عُرفة ، سُبْحَانَ الَّذِي فِي الأرض موظيفة، سُبْحَانَ الَّذِي فِي البَحْرِ سَبِيلة معان الذي في النارِ سُلْطَانَهُ ، سُبْحَانَ الَّذِي فِي الْجَنَّةِ وحملة سُبحَانَ الَّذِي فِي الْقَبْرِ قَضَاؤُهُ ، سُبْحَانَ الَّذِي في الهَوَاءِ رُوحُهُ سُبْحَانَ الَّذِي رَفَعَ السَّمَاءِ ، سُبْحَانَ الَّذِى وَضَعَ الْأَرْضَ سُبْحَانَ الَّذِي لَا مَلْجَا وَلَا مَنْجَا إِلَّا اليه

৯ই জিলহাজ্জের কার্য্য

        মিনাতে মোস্তাহাব ওয়াক্তে ফজর পড়িবে, তৎপরে তকবিরে তশরিক পাঠ করিবে, লববায়কা বলিবে, সূর্য্য উদয় হওয়া পর্যন্ত বিলম্ব করিবে, সূর্য্য উদয় হইলে, মনের শান্তি সহ ধীরে ধীরে মছজিদে খাএফের নিকটস্থ জব্বানামাক পর্ব্বতের পথ দিয়া আরফাত। ময়দানের দিকে লাবায়কা, কলেমা, তকবির, তছবিহ, এস্তেগফার, আলামদো, দোয়া, জেকর ও দরুদ পড়িতে পড়িতে রওয়ানা হইবে, মধ্যে মধ্যে লাববায়কা বলিতে থাকিবে, কেননা এহরাম অবস্থায় ইহা সমস্ত দোয়া ও জেকর অপেক্ষা উত্তম।

        জাবালে রহমত নামক পাহাড় দেখিলে, সোবাহানাল্লাহ আল্লাহো আকবর, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ, আলহামদো লিল্লাহ, আস্তাগফেরোল্লাহ পড়িবে, তৎপরে লাববায়কা বলিবে।

Post a Comment

0 Comments