পর্দার বিধান সকল মু'মিন নর-নারীর ওপর অনস্বীকার্য। কারণ যে আল্লাহ সকল নর-নারীকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই নির্দেশ দিয়েছেন পর্দায় থাকার জন্যে। পর্দাহীনতা একটি আদর্শ সমাজ জীবনের গতিধারাকে নষ্ট করে। মহান আল্লাহ নারী-পুরুষের মধ্যে যে আকর্ষণ সৃষ্টি করেছেন, তা যদি হেফাযত না করা হয় তাহলে অবশ্যই তাদেরকে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। তাই মহান আল্লাহ মানুষের চলার মাঝে একটি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন।
* দ্বিতীয়ত: মানবতার মহান শিক্ষক মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পারিবারিক জীবনে এবং সাহাবায়ে কিরাম ও মু'মিনদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, 'হে মানব সন্তান। তোমার প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি করো না। প্রথমটি ক্ষমার যোগ্য কিন্তু দ্বিতীয়টি নয়।'
অপর এক হাদীসে হযরত জাবের (রা) প্রশ্ন করলেন, 'হঠাৎ যদি দৃষ্টি পড়ে তাহলে কি করব?' নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, 'তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও।' (আবু দাউদ)
বেহায়াপনা দমনের জন্যে পর্দা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। নির্লজ্জ ব্যক্তিরা দুনিয়াতে যেমন অপমানিত হবে অনুরূপ আখিরাতে শাস্তি পাবে। মহিয়ানের প্রত্যয়দীপ্ত বাণী-
انَّ الَّذِينَ يُحِبُّونَ أَنْ تَشِيعَ الْفَاحِشَةُ فِي الَّذِينَ آمَنُوا لَهُمْعذاب اليم م في فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
অর্থ: যারা ইচ্ছা করে যে, মুসলমানদের মধ্যে নির্লজ্জতা প্রচার হোক পৃথিবীতেও তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে এবং আখিরাতেও। (সূরা নূর-১১)
আলোচ্য আয়াত থেকে জানা গেল, যারা পর্দা রক্ষা করে চলে না, আল্লাহর আইনের অবাধ্য হয়, তাদের জন্যে পরকালে কঠিন আযাব রয়েছে।
অন্যদিকে এ কথাও সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত যারা আল্লাহর আইন মেনে চলে তারা অবশ্যই আখিরাতে পুরস্কৃত হবে। নিচের হাদীস দ্বারা তাই বুঝা যায়।
অর্থাৎ যদি কোন মুসলমানের দৃষ্টি কোনো নারীর সৌন্দর্যের প্রতি পড়ে এবং সে সাথে সাথে স্বীয় দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আল্লাহ তাকে এমন ইবাদত করার শক্তি দান করবেন; যার স্বাদ সে নিজেই অনুভব করবে। (মুসনাদে আহমদ, হায়হাকী)
আল্লাহ তায়ালা মানুষের দৃষ্টির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এ কারণে যে, যা কিছু করা হয় প্রথমে তাকে সে জিনিস দেখতে হবে, তারপর অন্তর সে বন্ধু নিয়ে ভাববে। ভাবনার রাজ্যে অশ্লীলতা অগ্রাধিকার পেলে মানুষ পাপের পথে পা বাড়ায়। অর্থাৎ কোন কিছু করার জন্যে চোখ প্রধান ভূমিকা পালন করে। অতএব সর্বদা চোখ হেফাযত করে চলা উচিত। সুতরাং মুসলিম সমাজে পর্দার গুরুত্ব অত্যধিক। কারণ পর্দাহীনতা সমাজে অনেক অঘটনের জন্ম দেয়।
বেপর্দা ভ্রষ্টতার দ্বার উম্মোচন করে
পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে, যেন মানুষের মধ্যে পাপাচার, মিথ্যাচার ও প্রতারণা ইত্যাদি সামাজিক গর্হিতমূলক কাজ সমাজের মধ্যে বিষময় প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে না পারে, সেজন্যেই মূলতঃ পর্দার বিধান প্রবর্তন করা হয়েছে।
সতর্কতার সাথে ইসলামের প্রতিপাদ্য বিষয় নিরীক্ষণ করলে কিংবা ইতিহাসের শিক্ষাগ্রহণ অশ্লীলতার খারাপ দিক ও কুফল যেকোন ব্যক্তির কাছে পরিচ্ছন্ন প্রতিভাত হবে। ধর্মীয় ও বৈষয়িক বিষয় ব্যতীত অবাধ মেলামেশায় পৌঁছলে অশ্লীলতার কুফল বিশেষভাবে হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব হবে। এ অশ্লীলতার কিছু বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো।
মানবকুলের নৈতিকতা অধঃপতন, বিশেষত যুবশ্রেণী ও প্রাপ্তবয়স্কদের বহু প্রকৃতির পাপ কার্যে প্রলুদ্ধ করে। নারী সৌন্দর্যের প্রদর্শন প্রতিযোগিতা তাদের নৈতিক অধঃপতন ঘটায়। বাজারের পণ্য সামগ্রীর মত তারা তাদেরকে লোকজনের প্রদর্শনের বস্তু বানিয়ে নেয়।
উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রাস্তায় কিংবা কর্ণারে দেখা যায় যে, ষোল হতে বিশ বছরের যুবকের মাদকাসক্ত, ধূমপান ও অর্ধনগ্ন অবস্থায় যৌন চাহিদা চরিতার্থ করার জন্যে পথে-ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেন, কী কারণে এমন ঘটছে কেউ উদঘাটন করার ও সমাধানের জন্যে চিন্তাও করছে না। যৌন চাহিদা চরিতার্থে জড়বাদী জীবন পরিচালনায় নতুন প্রজন্ম যেন উঁচু স্থানে অবস্থান করতে চাইছে। যার ফলে এইডস ও অন্যান্য যৌন রোগের সংক্রামণ দেখা দিচ্ছে।
পারিবারিক বন্ধন ছিন্ন করে সদস্যদের মধ্যে অবিশ্বাসের দানা বাঁধছে এবং স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন নষ্ট হচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য প্রচারণা অভ্যর্থনা ও অন্যান্য স্থানে নারীদের বিকৃতভাবে ব্যবহার করে সামাজিক অশান্তি ঘটানো হয়। দুষ্ট ও উদ্ধত আচরণের লোকেরা তাদের অসৎ ও হীন উদ্দেশ্য নারীদের কাছে প্রকাশ করে তাদের প্রলুব্ধ করে এবং মানহানি ঘটায়।
বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-
অর্থ: পাপ একক কোন জাতির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না যতক্ষণ না তারা তাদের নিজ কর্মকাণ্ড দ্বারা তার ঘোষণা দেয়। আর ঘোষণা দিলেই মহামারি ও অন্যান্য রোগ তাদের মধ্যে বিস্তার লাভ করে যা তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে ছিলনা। অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়া তো দূরের কথা এ ধরনের কাজ অবলোকন করাকে যিনা বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
الْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظُرُ .
অর্থাৎ, চোখের যিনা হচ্ছে দেখা। এখানে সূক্ষ্ম মাসআলাটি হচ্ছে যিনার কাজটি দেখার কারণে তার মনেও যিনার আকর্ষণ সৃষ্টি হতে পারে এবং এক মুহূর্তে সে ঐ কাজের প্রতি অগ্রসর হতে পারে। হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ মানুষ যার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে তা সামনে অনায়াসে পেলে পূরণ করার আগ্রহ জন্মে। তাই ইসলাম এ ধরনের কাজ দেখতে নিষেধ করেছে। অশ্লীলতা দৃষ্টি নিম্নগামী রাখতে সমস্যা তৈরি করে। তাই অশ্লীলতার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ন্যায়সঙ্গত শাস্তি আরোপ হয়।
আল্লাহ তায়ালার শাস্তি আণবিক মরণাস্ত্রে অথবা ভূমিকম্পের চাইতেও বেশি কঠিনতর উল্লেখ করে বলেন-
وَإِذَا أَرَدْنَا أَنْ تُهْلِكُ قَرْيَةً أَمَرَنَا مُتْرَفِيهَا فَفَسَقُوا فِيهَا فَحَقَ عَلَيْهَا الْقَوْلُ فَدَقَرْنَهَا تَدْمِيرًا .
অর্থঃ এবং যখন আমি কোন শহর ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেই তখন নির্দিষ্ট হুকুমে তাকিদ দেয়া হয় আল্লাহর বাধ্যগত হবার জন্যে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে
সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। সত্য পথে চলার জন্যে আর যখন তার সীমালঙ্ঘন করে অমান্য করে, অন্যায়কে ন্যায় বলে তখন তাদেরকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়। (সূরা বনি ইসরাইল-১৬)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সে সাথে সুর মিলিয়ে বলেন-নিশ্চয়ই মানুষ যখন খারাপ কাজ দেখে আর এতে বাধা প্রদান না করে, আশংকা রয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা তাদের সবাইকে আযাবে গ্রেফতার করবেন।
তাই বলা যায় যে, সমাজে মন্দ কাজ হতে দেয়া যাবে না। এবং সে মন্দ কাজ আগ্রহের সাথে দেখাও ইসলাম অবৈধ ঘোষণা করেছে।
পর্দা আত্মমর্যাদার প্রতীক
পর্দার নিয়মটি জোর করে কারো কারো ওপর চাপিয়ে দেয়াতে কোন উপকারিতা নেই। নারীদের আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন লজ্জা দিয়ে। তাই লজ্জাবতী নারীর কাছে পর্দা একটি স্বভাবজাত বিষয়। লজ্জাশীল আত্মমর্যাদার অধিকারী যেকোন ব্যক্তিই দাবি করে যে, তার স্ত্রী পর্দায় থাকুক। কোন অসভ্য ও অভদ্র মানুষও তা মেনে নেবে না যে, তার স্ত্রী নগ্নদেহে মানুষের সামনে হাঁটা-চলা করুক। অন্য পুরুষের ভোগের সামগ্রী হিসেবে সাদরিত হোক। যে ব্যক্তি তার-স্ত্রী নগ্নদেহে চলুক কামনা করে, তখন বলতে হবে ঐ লোকের মাঝে মনুষ্যত্বের অভাব রয়েছে। স্ত্রী তো কোন প্রদর্শনের বস্তু নয়।
আর এজন্যেই শরীয়ত স্বভাবজাত বিষয়সমূহকে মানুষ তার নিজ প্রয়োজন মেনে নেবে। তাই দেখা যায়, প্রস্রাব-পায়খানা নাপাক এবং তা থেকে পবিত্র হওয়া সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করা সত্ত্বেও কুরআন-হাদীসের কোথাও এমন কথা বলা হয় নি যে, প্রস্রাব-পায়খানা খাওয়া হারাম। কেননা, বিবেকই বলে দেয় এগুলো খাওয়া হতে বিরত থাকতে।
উপরের নিয়মের দাবি তো এটাই যে, শরীয়তের পক্ষে পর্দার বিধি-বিধান কোন আলোচনা করা হবে না। কিন্তু শরীয়ত প্রবর্তকের এ বিষয়টি ভালভাবেই জানা যে, এমন একদিন আসবে যখন মানবীয় স্বভাব প্রকৃতির ওপর পাশবিকতা চরমভাবে জয় লাভ করবে। লজ্জা-শরম হ্রাস পাবে। সর্বত্র বেহায়াপনা নির্লজ্জতা বৃদ্ধি পাবে। তখন মানুষ তার স্বভাবগত চাহিদা পর্দার প্রতি কিঞ্চিৎ সম্মান প্রদর্শন করবে না। এজন্যে তিনি আগেই পর্দার যাবতীয় বিধি-বিধান পূর্ণাঙ্গ রূপে বর্ণনা করে দিয়েছেন। অনেকে ঘরের সুন্দর পরিবেশে অবস্থানকে বন্দীদশা মনে করে থাকে।
সত্যিকার অর্থে এটা বন্দীদশা নয় বরং বন্দীদশা হচ্ছে ঘরের শান্ত পরিবেশ ছেড়ে বাইরের অশান্ত পরিবেশে যাওয়া। বন্দী বলতে বুঝায় কাউকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোথাও আটক করে রাখা। নিজের ঘরের মধ্যে থাকাকে কেউ বন্দী বলে না। বরং নিজের ঘরে সে সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন। অনুরূপ সুস্থ মানসিকতার অধিকারিণী যেকোন নারীর জন্যেই ঘরের শান্ত শিষ্ট পরিবেশ থেকে বাইরের অশান্ত ও উচ্ছৃঙ্খল পরিবেশে বেপর্দা হয়ে বের হওয়া অতি কষ্টের। এদিকে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, পর্দা কোনভাবেই বন্দীত্ব নয় বরং পর্দাহীনতাই বিপদের দ্বার উন্মোচন করে। যার মধ্যে নারীর স্বকীয়তাবোধ নেই সে নারী নামের কলঙ্ক।
কোন একস্থানে জনৈক লোকের ঘরে আগুন লেগে যায়। এ ঘরে তার পর্দানিশীন স্ত্রী ছিল। বাইরে বের হলে অন্য পুরুষ তার চেহারা দেখে ফেলবে, একথা ভেবে তিনি ঘরের বাইরে বের হন নি, অনলে পুড়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। ঘটনা বলার দ্বারা আমার উদ্দেশ্য এই নয় যে, মহিলা খুব ভাল কাজ করেছেন, বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্দার প্রতি তার আবেগের কথা বর্ণনা করা।
আমি তো প্রায় সময় বলে থাকি যে, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি পর্দার বিধান নাও দিতেন। তবু আত্মমর্যাদা বোধ বলতে একটা কথা আছে। পুরুষের তো স্বাভাবিকভাবেই এ আত্মমর্যাদাবোধ থাকা উচিত যে, যেন তার স্ত্রীকে অন্য কোন লোক দেখতে না পারে।
পর্দা আত্মরক্ষার হাতিয়ার
পর্দা মহান আল্লাহর নিকট থেকে একটা বিরাট নিয়ামত এবং আত্মরক্ষার বড় হাতিয়ার। পর্দা নারীকে বড় বড় পাপ কাজ থেকে রক্ষা করে। কারণ মানুষ যখন বিপদের আশংকা করে, তখন সে স্বভাবতই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করে। পর্দা এক ধরনের গোপনীয়তা। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- إنَّ اللهَ حَيْى سَتِيرُ يُحِبُّ السير
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা লজ্জাশীল ও গোপনীয়। কাজেই তিনি পর্দাকে পছন্দ করেন।
উপরিউক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় যে, লজ্জাশীলতা ঈমানের অঙ্গ। তাই যার ঈমান আছে, সে-ই লজ্জা পায়। আর লজ্জাশীল নারী যা ইচ্ছে তা করতে পারে না। লজ্জা না থাকলে একটি লোক মনে যা খুশি তা করতে পারে। দ্বিতীয় কথাটি হচ্ছে, গোপনীয়তা। আত্মগোপন করে থাকলে মানুষ নানান বিপদ থেকে বেঁচে যায়। আর পর্দা হচ্ছে আত্মগোপনীয়তার মতই। পর্দা নারীকে অনেক বিপদ থেকে হেযাফত করে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, যে মহিলা তার ঘরের লোক ছাড়া অন্যের কাছে তার কাপড় উন্মোচন করে, আল্লাহ তায়ালা তাকে বেপর্দা করে দেন। স্বামী ব্যতীত নিজ সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্যে পরিধেয় পোশাক পরিচ্ছদ ব্যবহারে আল্লাহ তায়ালা নারাজ হন এবং আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত হতে হয়।
পর্দা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম
তাকওয়া মানে গুণাহমূলক কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। আর পর্দা হচ্ছে তাকওয়া অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-হে বনী আদম। আমি তোমাদের জন্যে পোশাক অবতীর্ণ করেছি। তোমাদের শরীরের আবরণ এবং সাজসজ্জার বস্তু হিসেবে এবং পরহেজগারীর পোশাক হিসেবে এটি উত্তম। (সূরা আরাফ: ২৬)
আজকাল অতি সহজে পরিধের সহজলভ্য পোশাকের প্রচলন হয়েছে। আজকের দুনিয়ায় যাকে পর্দা বলে আখ্যায়িত করা যায় না। কিন্তু বিশ্বাসী মহিলারা আল্লাহর আদেশ মান্য ও তার সন্তুষ্টির জন্যে সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখার মত পোশাক পরিচ্ছেদ ব্যবহার করে। এটা তাকওয়ার অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং বুঝা গেল পর্দা তাকওয়া অর্জনের একটি সর্বোত্তম মাধ্যম।
0 Comments