কিয়ামতের বিবরণঃ আল্লাহ তাআলা একদিন সমগ্র বিশ্বজগত ও উহার ভিতরকার সৃষ্টি জগতে এক মহাপ্রলয় সংগঠিত করিবেন; এই দিনটির নাম কেয়ামত। সেখানে আবার তাদের সবাইকে পূনরায় জীবিত করা হবে এবং তারা সবাই এসে আল্লাহর সামনে হাজির হবে। এজন্য এ দিনটির অপর নাম 'হাশর'। সেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক জাতি এবং গোটা মানবগোষ্ঠীর কর্মের রেকর্ড নির্ভুল, নিখুঁত ও সুরক্ষিত অবস্থায় উপস্থাপিত হবে। প্রতিটি মানবগোষ্ঠীই সাক্ষীর কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকবে। তখন মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, জিহ্বা এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উহাদেরকে কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল তার সাক্ষ্য দিবে।
আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ বিচারক। তিনি এসব কার্যবিবরণীর ভিত্তিতে কে কতটা পুরস্কার আর কতটা শান্তির যোগ্য, পূর্ণ ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে তা ঘোষণা করবেন। এ পুরস্কার বা শাস্তির পরিধি এতোই ব্যাপকতর হবে যে, বর্তমান জগতের সীমিত মাপকাঠির ভিত্তিতে তা অনুমান করাও সম্ভব নয়। যে জীবন হবে অনন্ত।
পরকালের প্রতি ঈমান
পরকালের প্রতি ঈমান আনার অর্থ এই যে, মৃত্যুই মানব জীবনের শেষ নয় বরং মৃত্যুর মাধ্যমে মানুষ তার পরকালীন জীবনে প্রবেশ । এই পরকালেই মানুষের পার্থিব জীবনের تُجَرُونَ عَلَى وُجُوهِكُمْ هَاهُنَا وَأَمَّا يَنِ إِلَى যাবতীয় কাজের হিসাব-নিকাশ করা হবে। যাদের ফলাফল ভাল হবে তারা তার ফল হিসেবে জান্নাত লাভ করবে। আবার অনেকে খারাপ ফলের জন্য জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করবে। পরকাল বিশ্বাস ঈমানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরকালীন শাস্তির ভয়ই মানুষকে দুনিয়ায় খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করে। যারা পরকাল বিশ্বাস করে না তারা দুনিয়ার জীবনে চরম সেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। যা সমাজ জীবনকে করে অতিষ্ট।
কেয়ামতের কিছু নিদর্শন নবী রাসূলদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে:
(ক) সন্তানেরা মায়ের সাথে দাসীদের ন্যায় আচরণ করবে।
(খ) সমাজের অযোগ্য ও নীচ শ্রেণীর লোকেরা নেতা সেজে অহংকারে লিপ্ত থাকবে।
(গ) দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে।
(ঘ) কোরআনের অক্ষর উঠে যাবে।
(ঙ) তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে ইত্যাদি।
ইমাম বুখারী হযরত হুযাইফা বিন উসাঈদ (রা:) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেখানে রাসূল (সা:) কেয়ামতের পূর্বে ১০টি নিদর্শনের কথা উল্লেখ করেছেন। এ হাদীসটি বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন যে, তাঁদের আলাপ-আলোচনার এক পর্যায়ে রাসূল (সা:) তাদের মধ্যে এসে বলেন, তোমরা কি বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করছ? সমবেত সাহাবায়ে কেরাম উত্তরে বললেন, আমরা কেয়ামত সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করছি। তখন নবী করীম (সা:) বললেন, দশটি নিদর্শন বা আলামত যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা দেখতে না পাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কেয়ামত আসবে না। সেই দশটি বিষয় হলো:
(১) ধোঁয়া।
(২) দাজ্জাল।
(৩) দাব্বাহ।
(৪) অস্ত যাওয়ার দিক থেকে সূর্যের উদয়।
(৫) ঈসা (আ:)-এর অবতরণ।
(৬) ইয়াজুজ-মাজুজের আগমন।
(৭) তিনটি ভূমি ধ্বংস; পূর্বদিকের।
(৮) পশ্চিমদিকের।
(৯) আরব উপদ্বীপের।
(১০) ইয়ামেন হতে উত্থিত আগুন, যা মানুষকে তাড়িয়ে সমাবেশের স্থানে নিয়ে যাবে। সূত্র: বুখারী শরীফ
মুআবিয়া ইবনে হিদা থেকে অপর একটি হাদীস বর্ণিত আছে। তিনি রাসূল (সা:) এর নিম্নোক্ত বাণী বর্ণনা করেছেন-
إِنَّكُمْ يُحْشَرُونَ رِجَالاً وَرَحْيَانًا وَتَجَرُونَ عَلَى وُجُوهِكُمْ هَاهُنَا وَأَمَّا بِيَدِهِ إِلَى الشام.
অর্থাৎ- নিশ্চয়ই তোমরা পায়ে হেঁটে ও আরোহী বেশে সমবেত হবে। আর এ জায়গায় সামনের দিকে ছুটতে থাকবে। এ কথা বলে তিনি সিরিয়ার দিকে ইংগিত করলেন।
সূত্র: আহমদ, তিরমিজী, হাকিম
রাসূল (সা:) বলেন, কেয়ামতের আলামত হলো, ইল্ম উঠে যাবে, ও অজ্ঞতার বিস্তার লাভ করবে, ব্যভিচারের ছড়াছড়ি হবে, মদ্যপান, পুরুষ প্রজনন ক্ষমতার হ্রাস, স্ত্রীলোকের প্রজননের আধিক্য, এমনকি এক সময় নারী পুরুষের জন্মের হার হবে ৫০: ১ ভাগ।
সূত্র: বুখারী, মুসলিম শরীফ
হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে একটি দীর্ঘ হাদীস ইমাম বুখারী বর্ণনা করেছেন। যাতে রাসূল (সা:) এর উক্তি এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার পূর্বে কিছু আলামত ও নিদর্শন প্রকাশিত হবে এবং এগুলো প্রকাশিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না। সেই লক্ষণসমূহ নিম্নরূপ:
(১) দু'টি বৃহৎ গোষ্ঠী বা দল একই দাবীতে ভয়াবহ সংঘর্ষে লিপ্ত হবে।
(২) প্রায় ত্রিশজন মিথ্যাবাদী দাজ্জাল এসে প্রত্যেকেই নিজেকে আল্লাহর রাসূল বলে দাবী করবে।
(৩) জ্ঞান ও ইলম হ্রাস পাবে।
(৪) ভূমিকম্প বৃদ্ধি পাবে।
(৫) সময় কেয়ামতের দিকে দ্রুত ধাবিত হবে।
(৬) ফিতনা-ফাসাদ বৃদ্ধি পাবে।
(৭) হত্যাকাণ্ড বেড়ে যাবে।
(৮) ধন-সম্পদ এতই বেড়ে যাবে যে, ধনী ব্যক্তি তার সদকা করার ব্যাপারে চিন্তি হয়ে পড়বে। কেননা সদকা করার জন্য কাউকে দান করতে গেলেই সেই ব্যক্তি বলবে যে, তার কোন প্রয়োজন নেই।
(৯) মানুষ অট্টালিকা নির্মাণে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে।
(১০) জীবনের প্রতি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে মানুষ মৃত্যুকে অধিক পছন্দ করবে এবং কোন কবরের পাশ ছেড়ে যাওয়ার সময় আফসোস করে বলবে, হায়! আমি যদি তার জায়গায় থাকতাম।
(১১) সূর্য তার অস্তাচল থেকে উদিত হবে এবং এভাবে সূর্যোদয় দেখার সাথে সাথেই লোকেরা দলে দলে ঈমান আনতে থাকবে। অথচ সে সময় কারো ঈমান কোন কাজে আসবে না, যদি ইতোপূর্বে সে ঈমান এনে না থাকে অথবা তার ঈমানের সাথে সৎ কাজের সংমিশ্রণ ন থাকে।
(১২) এমন অবস্থায় হঠাৎ কেয়ামত এসে যাবে। দু'জন লোক কাপড়ের বেচা-কেনা শুরু করবে অথচ তাদের কেনা-বেচা শেষ হওয়ার আগেই এবং কাপড় ভাজ করার আগেই কেয়ামত উপস্থিত হবে। এমন সময় কেয়ামত উপস্থিত হবে যে, কোন ব্যক্তি উটের দুধ নিয়ে বের হয়েও তা পান করার সময়টুকুও পাবে না। কেয়ামত এমন দ্রুত আগমন করবে যে, কোন ব্যক্তি তার কুপ সংস্কার করবে অথচ, তা থেকে পানি পান করতে সক্ষম হবে না। এমন হঠাৎ করে কেয়ামত এসে যাবে যে, মানুষ তার মুখের কাছে খাদ্য নিয়েও তা আহার করার অবসর পাবে না। সূত্র: বুখারী শরীফ
রাসূল (সা:) আরও বলেছেন, এমন এক সময় আসবে যখন পৃথিবীর সকল জাতি একজোট হয়ে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে যেমনভাবে পেয়ালার মধ্যে খাদ্যবস্তু একত্র হয়ে যাবে। একজন সাহাবী তখন প্রশ্ন করলেন, তবে কি আমরা তখন সংখ্যায় কম থাকব? উত্তরে নবী করীম (সা:) বললেন, না তোমরা বরং সংখ্যায় বেশী থাকবে। তবুও তোমরা বন্যায় ভেসে যাওয়া খড়-কুটার ন্যায় দুর্বল হয়ে যাবে এবং আল্লাহ শত্রুদের অন্তরে তোমাদের ব্যাপারে লালিত ভয়-ভীতি দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে দূর্বলতা সৃষ্টি করবেন। অপর একজন জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা:) কি সেই দূর্বলতা? তখন নবীজী বললেন, তোমাদের সেই দূর্বলতা হলো, দুনিয়াকে ভালোবাসা ও মৃত্যুকে অপছন্দ করা।
সূত্র: আহমদ, আবু দাউদ, অন্যান্য হাদীস বর্ণনাকারীগণ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, ইহুদীরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। অতঃপর তোমরাই তাদের উপর বিজয়ী হবে, এমনকি নির্বাক পাথরও তোমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসে তোমাদরে কাউকে বলবে, হে মুসলমান। দেখ, আমার পেছনে এক ইহুদী লুকিয়ে আছে। তাকে হত্যা কর।
সূত্র: বুখারী, মুসলিম শরীফ
পবিত্র কুরআনে সূরা হজ্জ এর ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে। নিশ্চয়ই কেয়ামতের আগমন ঘটবে। এতে কোন সন্দেহ নেই এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা কবরবাসীগণকে পুনরুত্থিত করবেন।
কেয়ামত সম্মানিত ও অপমানিত করবেঃ
হাশরের ময়দানে দুনিয়ার অনেক অবহেলিত লোক হবে সম্মানিত। আর অনেক গর্বিত ও অহংকারী ধনশালী লোক হবে অপমানিত। কেয়ামত হচ্ছে সম্মানিত ও অপমানিত হওয়ার দিন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআ'লা বলেন:
_ "যখন মহা প্রলয় সংঘটিত হবে। তা সংঘটিত হওয়ার ব্যাপারে বিন্দুমাত্রও মিথ্যার লেশ নেই। সে মহাপ্রলয় (কেয়ামত) কতককে করবে হীন ও অপমানিত, আর কতককে করবে সম্মানিত ও উন্নত।" (সূত্র: সূরা ওয়াকিয়া, ১ম রুকু)
কেয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে তাদের আমল অনুযায়ী মান-মর্যাদা নির্ধারণ করা হবে। সেদিন ছোট-বড়, মান-মর্যাদা ও অপমানের মানদণ্ড হবে আমল। নেক আমলের কারণে মানুষ হবে সম্মানিত, আর বদ আমলের কারণে মানুষ হবে হীন ও অপমানিত। মোটকথা আমলই হবে মান-অপমানের মানদণ্ড। দুনিয়ায় যেসব দাম্ভিক অহংকারী ধনশালী ও গৌরবময় লোককে সম্মানিত ভাবা হত, তাদেরকে জাহান্নামের অতল গহবরে নিক্ষেপ করা হবে। তাদের কৌলীণ্য চৌধুরীপনা ও তালুকদারিত্বে কোনই কাজ হবে না। সব মাটির সাথে মিশে যাবে। কোরআনের ভাষায় তখন তাদের মুখেই ফুঠে উঠবে-
অর্থাৎ- আমাদের ধন-সম্পদ ও বিষয় সম্পত্তি দ্বারা কোনই উপকার হল না, আমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি সব কিছু আজ ধ্বংস হয়ে গেল। সূত্র: সূরা হাক্কাহ, ২য় রুকু
হাশর ময়দানে এরূপ অনুশোচনায় কোনই কাজ হবে না। দুনিয়াতে অনেক লোক বিনয় ও নম্র অবস্থায় জীবন যাপন করে থাকে, তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা হত। তাদেরকে নীচ জাত ও নীচ বংশের ভাবা হত। তারা নিজেদের সম্মান ও গৌরবের প্রতি আদৌ লক্ষ্য করত না। তারা যেহেতু আল্লাহ তাআ'লার সাথে দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন করে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করত, এ কারণে কেয়ামতের দিন তাদের কেউ মেশকের টিলায়; কেউ নূরের মিম্বরে, আবার কেউ আরশের ছায়াতলে মহা-সম্মানের সাথে অবস্থান করবেন। অতঃপর তাদের মধ্যে অনেকে বিনা হিসাবে, অনেকে হিসাবাস্তে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারা জান্নাতের বালাখানায় চির আনন্দময় পরিবেশে থাকবে। যেমন আল্লাহ তাআ'লা বলেছেন-
"এসব লোক ঈমান ও ধৈর্য সহিঞ্চুতার কারণে এমন বালাখানায় অবস্থান করবে যাতে তারা লাভ করবে অভিবাদন ও শাস্তি।" সূত্র: সূরা ফুরকান, আয়াত: ৭৫
নবী করীম (স:) বলেছেন, দুনিয়াতে যারা অপরিমিত পানাহার ও বিপুল ধন সম্পদে মধ্যে বিলাস-বহুল জীবন যাপন করত, তারা অনেকেই পরকালে উলংগ ও বুভুক্ষ অবস্থায় থাকবে। সাবধান! দুনিয়ায় অনেকে নিজদেরকে সম্মানিত বানিয়ে নিয়েছে। আসলে তার নিজেদেরকে হীন ও অপমানিত করছে। (পরকালে তাদের কোনই পাত্তা থাকবে না।) আর দুনিয়ায় এমনও অনেক মানুষ আছে, যারা নিজদেরকে বিনয়তা ও নম্রতার কারণে হীন ও তুচ্ছ করে রেখেছে। মূলত তারা নিজদেরকে সম্মানিত করে তুলছে। কেননা তাদের বিনয়তা ও নম্রতা তাদেরকে জান্নাতে পৌছে দেবে। (সূত্র: আত্মারগীব অত্তারহীব)
হযরত আবু হোরায়রা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন, হাশরের দিন অনেক মোটা তাজা ও ভারী লোক আল্লাহ তাআ'লার কাছে মশা-মাছির সমতুল্যও ওজন হবে না (সেদিন তাদের কোন মর্যাদাই থাকবে না)। অতঃপর রাসূল (স) বললেন, তোমরা কোরআন মজীদের এ আয়াতটি পাঠ কর।
অর্থাৎ- কেয়ামতের দিন আমি তাদের জন্য কোন পরিমাপ যন্ত্রই কায়েম করব না।
(সূত্র: বোখারী, মুসলিম, মেশকাত শরীফ)
বর্তমান দুনিয়ায় এমন অনেক মনিব রয়েছে, যাদের অনেক চাকর-চাকরাণী ও দাস-দাসী বিদ্যমান। তারা তাদেরকে গালিগালাজ ও মারপিট করে। অনেকে ধন দৌলতের নেশায় অধিনস্ত লোকদেরকে অযথা এবং কথায় কথায় নির্যাতন করে। কিন্তু হাশর ময়দান হচ্ছে সঠিক বিচার-ফয়সালার দিন। সেখানে অনেক চাকর-চাকরানী ও তুচ্ছ লোকও হবে সম্মানিত ও উন্নত। আর অনেক সম্মানিত ও পজিশনওয়ালা আল্লাহদ্রোহী ব্যক্তি হবে হীন, তুচ্ছ ও অপমানিত। তারা অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে অবশেষে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। দুনিয়ার যশ খ্যাতি লাভ ও গৌরব অর্জনের জন্য যারা বারবার নির্বাচনের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয় এবং সম্মান ও গৌরব লাভের আশায় যারা আল্লাহ তাআ'লার বিধানকে করে পদদলিত, এমন লোকদের পরিণাম কি দাড়াবে? তারা যেন নিজেদের অবস্থান বুঝে নেয়।
0 Comments