আযানের ফযীলত

        রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন: কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তি মেশকের টিলায় অবস্থান করবে। তাদের হিসাব-নিকাশের কোন ভয় থাকবে না এবং কোনরূপ আতংক তাদেরকে স্পর্শ করবে না। হিসাব-নিকাশ সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত তাদের এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে। তাদের মধ্যে একজন সে ব্যক্তি, যে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যে কোরআন তেলাওয়াত করে, নামাযে ইমামতি করে এমতাবস্থায় যে, মুসল্লীরা মসজিদে আযান দেয় এবং মানুষকে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে। তৃতীয় সে ব্যক্তি, যে দুনিয়াতে দাসত্বে লিপ্ত; কিন্তু এই দাসত্ব তার আখেরাতের কাজকর্মে প্রতিবন্ধক হয় না। এক হাদীসে আছে-

        অর্থাৎ, মুয়াযযিনের কণ্ঠস্বর যেকোন জ্বিন, মানব ও বস্তু শোনে, তারা কেয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে।

        আরও বলা হয়েছে: মুয়াযযিন যে পর্যন্ত আযান দিতে থাকে, আল্লাহ তাআলার হাত তার উপর থাকে।

وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًا مِّمَّنْ دَعَا إِلَى اللهِ وَعَمِلَ صَالِحًا .

অর্থাৎ, যে আল্লাহর দিকে আহ্বান করে এবং সৎকর্ম করে, তার চেয়ে উত্তম কথা আর কার?

        এ আয়াত সম্পর্কে কোন কোন তফসীরবিদ বলেন, এটি মুয়াযযিন সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। রসূলে করীম (সাঃ) বলেনঃ

اذا سمعتم النداء فقولوا مثل ما يقول المؤذن .

        অর্থাৎ, “তোমরা যখন আযান শোন, তখন মুয়াযযিন যা বলে তোমরাও তা বল।"

        মুয়াযযিন যা বলে তা বলা মোস্তাহাব। কিন্তু যখন সে  তোমরা নামাযের দিকে এস, তোমরা কল্যাণের দিকে এস বলে, তখন শ্রোতা বলবে- আল্লাহ একে কায়েম ও স্থায়ী রাখুন যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী স্থায়ী থাকে)। ফজরের আযানে যখন মুয়াযযিন বলে : الصلوة خير من النوم )নামায নিদ্রা অপেক্ষা উত্তম), তখন শ্রোতা বলবে : قد صدقت وسررت )তুমি সত্য বলেছ ও ভাল কাজ করেছ)। আযান শেষে এই দোয়া বলবে-

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعُوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلُوةِ الْقَائِمَةِ أَنِ مُحَمَّدَنِ الوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَالدَّرَجَةَ الرَّفِيعَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُودَنِ الَّذِي وَعَدْتَهُ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ المِيعَادَ .

        অর্থাৎ, হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠিত নামাযের প্রভু, আপনি মুহাম্মদকে ওসিলা, শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চ মর্যাদা দান করুন এবং তাঁকে বেহেশতের প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করুন, যার ওয়াদা আপনি করেছেন। নিশ্চয় আপনি ওয়াদার খেলাফ করেন না।

        সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যেব (রঃ) বলেন: যেব্যক্তি জঙ্গলে নামায পড়ে, তার ডান দিকে একজন ফেরেশতা এবং বাম দিকে একজন ফেরেশতা নামায পড়ে। যদি সে আযান ও তকবীর বলে, তবে তার পেছনে পাহাড়ের মত ফেরেশতা নামায পড়ে।

Post a Comment

0 Comments