কখনো কোনো একজন সাহাবীও নবী করীম (সা:) এর সম্মুখে বেয়াদবী করেছেন এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং প্রত্যেক সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসূলের জন্যে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে সকল সময় প্রস্তুত থাকতেন। নিজের সন্তান-সন্ততি, পরিবার-পরিজন এমনকি নিজের প্রাণের তুলনায় নবী করীম (সা:) কে তাঁরা অধিক ভালোবাসতেন। সুতরাং আকাশের নীচে যমীনের বুকে সর্বাধিক প্রিয় এ মানুষটির সাথে যেনো নিজের অজান্তেও বেয়াদবি না ঘটে এ ব্যাপারে তাঁরা সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করার চেষ্টা করতেন।
হুদাইবিয়ার সন্ধিকালে মক্কার ইসলাম বিরোধী শক্তি উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফীকে আলোচক হিসাবে প্রেরণ করলো। এ লোকটি নবী করীম (সা:) এর সাথে মুখোমুখি বসে সন্ধির শর্ত নিয়ে আলোচনা শুরু করলো এবং চারদিকে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলো। আল্লাহর রাসূলের পিছনে শাণিত তরবারী হাতে মক্কার আলোচকের দিকে সতর্ক দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হযরত মুগিরা ইবনে শু'বা (রা:) দাঁড়িয়ে ছিলেন। আরবের চিরন্তন প্রথানুযায়ী উরওয়া আলোচনা চলাকালে ডান হাত দিয়ে নবী করীম (সা:) এর পবিত্র দাড়ি স্পর্শ করছিলো। বিষয়টি মর্যাদাহানীকরও ছিলো না এবং সামাজিক প্রথা হিসাবে আল্লাহর রাসূলও এতে আপত্তি জানাননি। কিন্তু সাহাবায়ে কেরাম বিষয়টি সহ্য করলেন না। হযরত মুগিরা ইবনে শু'বা (রা:) আহত সিংহের মতোই গর্জন করে উঠলেন, 'উরওয়া, তোমার হাত সরিয়ে নাও! আর একবার যদি তোমার হাত আল্লাহর রাসূলের দাড়ি স্পর্শ করতে এগিয়ে আসে তাহলে আমার তরবারী তোমার হাতকে ফিরিয়ে দিবে'।
মুসলমানদের সংখ্যা তখন নিতান্তই অল্প, নারী-পুরুষসহ দুই হাজারেও উন্নীত হয়নি। সারা দুনিয়া তাঁদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহর রাসূল (সা:) এর মর্যাদা রক্ষায় সিংহের মতো গর্জন করেছেন। একজন অমুসলিম আরবের আবহমান প্রথা অনুসরণ করছে মাত্র, এটাও তাঁরা বরদাস্ত করেননি। বর্তমানে দেড়শত কোটির ওপরে মুসলমানদের সংখ্যা, প্রতিদিন পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন হলেও অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করে এবং মুসলিম নারীর গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধিই হচ্ছে। এ পৃথিবীতে অনেকগুলো বিশালায়তন রাষ্ট্রের অধিকারী মুসলিমরা। অঢেল অর্থ-সম্পদের মালিক তাঁরা। অগণিত বনজ, খনিজ, মৃত্তিকা, জলজ সম্পদের মালিক এবং অসংখ্য কর্মীর হাত রয়েছে মুসলমানদের। আণবিক অস্ত্রসহ বহু ধরনের অস্ত্র রয়েছে এদের হাতে।
এরপরেও প্রায় দিনই নবী করীম (সা:) এর মর্যাদার প্রতি আঘাত আসছে। পত্র-পত্রিকা ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে নবী করীম (সা:) এর ব্যঙ্গ চিত্র প্রকাশসহ তাঁর প্রতি কটুক্তি করা হচ্ছে। তাঁর প্রতি মর্যাদাহানীকর বিষয় সম্বলিত অগণিত প্রকাশনা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ দেড়শত কোটির অধিক মুসলমান নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এর স্বাভাবিক পরিণতির কারণেই মুসলমানরা বর্তমান পৃথিবীতে সবথেকে লাঞ্ছিত, ঘৃণিত, অবহেলিত ও নির্যাতিত হচ্ছে। একটি চতুষ্পদ প্রাণী বা পিপিলীকার প্রাণের যে মূল্য দেয়া হচ্ছে তা মুসলমানদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না।
মক্কার আলোচক উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফী নিজেদের লোকজনের কাছে ফিরে গিয়ে নিজের চোখে দেখা বিস্ময় গোপন করতে পারেনি। হুদাইবিয়া নামক স্থানে নবী করীম (সা:) এর প্রতি সাহাবায়ে কেরামের অন্তর ঢেলে দেওয়া শ্রদ্ধা আর তুলনাহীন অনুপম ভালোবাসার বাস্তব দৃষ্টান্ত দেখে উরওয়া হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলো। মানুষ যে আরেকজন মানুষকে এতটা অকৃত্রিম ও অসীম ভক্তি, শ্রদ্ধা করতে পারে তা ছিলো উরওয়ার কল্পনারও অতীত। প্রেরকদের কাছে ফিরে এসে সে বিস্মিত কণ্ঠে বলেছিলো, 'আমি পারস্য সম্রাটের দরবারে গিয়েছি, রোম সম্রাট ও নাজ্জাশীর দরবারেও গিয়েছি। সম্রাট ও রাজার প্রতি রাজ সভাসদদের আচরণ দেখেছি। মুহাম্মাদ (সা:) এর সাথীগণ তাঁর সাথে যে আচরণ করে তার তুলনা কোথাও দেখিনি। কোনো একজন মানুষকে তাঁর অনুসারীরা যে হৃদয় দিয়ে এমনভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা করতে পারে, তাঁর আদেশ পালন করার জন্যে অকৃত্রিমভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, তাঁর প্রতি যে এভাবে আনুগত্যের মাথানত করে দিতে পারে, তা আমি কোথাও দেখিনি। আমি দেখলাম, তাঁর মুখ থেকে কোনো আদেশ বের হবার সাথে সাথেই তাঁর সাথীরা তা পালন করার জন্যে প্রতিযোগিতা শুরু করে। তিনি অজু করেন কিন্তু অজুর পানি মৃত্তিকা স্পর্শ করার পূর্বেই তাঁর সাথীরা দু'হাতে নিয়ে নিজেদের দেহ সিক্ত করতে থাকে। তিনি থুথু বা কফ নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিতেই অগণিত হাত এসে তাঁর মুখগহ্বরের সম্মুখে তালু বিছিয়ে দেয়। নিক্ষিপ্ত কফ বা থুথু সকলে একটু একটু করে নিয়ে গভীর মমতায় নিজ দেহে সুগন্ধির মতোই ব্যবহার করে। এমন দৃশ্য আমি কোথাও দেখিনি। পৃথিবীর কোনো কিছুর বিনিময়ে তাঁর সাথীরা তাঁকে ছেড়ে কোথাও যেতে আগ্রহী হবে না'।
এটাই ছিলো নবী করীম (সা:) এর প্রতি সাহাবায়ে কেরামের মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসার বাস্তব প্রতিফলন। একবার দরবারে নববীতে সাহাবায়ে কেরাম বসে কথা বলছিলেন, তাঁদের পরস্পরের মধ্যের আলোচনা বোধহয় কিছুটা গুঞ্জন সৃষ্টি করেছিলো। রাসূলের কর্ণকুহরে অন্যের উচ্চকণ্ঠ প্রবেশ করবে বা রাসূলের কণ্ঠের তুলনায় অন্যের কণ্ঠ তাঁর সম্মুখে উচ্চ হবে, মহান আল্লাহ এটা বুরদাস্ত করলেন না। তৎক্ষণাত আয়াত অবতীর্ণ করে নির্দেশ দিলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيَّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَنْ تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنْتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
হে ঈমানদার ব্যক্তিরা, কখনো নিজেদের আওয়াজ নবীর আওয়াজের ওপর উঁচু করো না এবং নিজেরা যেভাবে একে অপরের সাথে উঁচু কণ্ঠে আওয়াজ করো, নবীর সামনে কখনো সে ধরনের উঁচু আওয়াজে কথা বলো না, এমন যেনো, কখনো না হয় যে, তোমাদের সব কাজকর্ম এ কারণেই বরবাদ হয়ে যাবে এবং তোমরা তা জানতেও পারবে না। (সূরা হুজুরাত-২)
কল্পনাতীত উচ্চে নবী করীম (সা:) এর মর্যাদা, যাঁর সামনে উচ্চ কণ্ঠে কথা বলাও আল্লাহ তা'য়ালা পছন্দ করেননি। সতর্ক করে দেয়া হলো, কেউ যদি নবী করীম (সা:) এর সামনে উঁচু আওয়াজে কথা বলে তাহলে তাঁর জীবনের সকল কাজকর্ম বরবাদ হয়ে যাবে। এ আদেশের মাধ্যমে উপস্থিত এবং অনুপস্থিত কিয়ামত পর্যন্ত সকল মুসলিম মিল্লাতকে জানিয়ে দেয়া হলো তাঁরা যে নবী-রাসূলের অনুসারী, তাঁর মর্যাদা কতটা বিশাল এবং উচ্চতার কোন্ উচ্চ শিখরে। সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী নবীর অনুসারী হবার কারণে তাঁদের মর্যাদাও মহান আল্লাহর দৃষ্টিতে কতটা উচ্চে পরোক্ষভাবে এ কথাও উক্ত নির্দেশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপস্থিত ঐ মানুষগুলোকেই সতর্ক করা হয়েছিলো, যারা নবী করীম (সা:) এর ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল কিছু উৎসর্গ করার জন্যে সব সময় প্রস্তুত থাকতেন। আর অনুপস্থিত লোকজন যদি নবী ও তাঁর আদর্শের মর্যাদা রক্ষার জন্যে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত না হয়, তাহলে তাদের মর্যাদা বলতে পৃথিবীতে কোনো কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, এ বিষয়টিও জানিয়ে দেয়া হয়েছে এ কথার মাধ্যমে, 'তোমাদের সব কাজকর্ম এ কারণেই বরবাদ হয়ে যাবে এবং তোমরা তা জানতেও পারবে না'। বর্তমান বিশ্বে মুসলিম মিল্লাতের কোনো কর্মেরই ন্যূনতম মূল্য নেই এবং মর্যাদা বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই শুধুমাত্র এ কারণে যে, মুসলিম মিল্লাত নবী করীম (সা:) ও তাঁর আদর্শের প্রতি অমার্জনীয় অবহেলা প্রদর্শন করছে।
নবী করীম (সা:) এর জীবদ্দশায় যাঁরা তাঁর সান্নিধ্য অর্জনে ধন্য হয়েছিলেন, দরবারে রেসালাতের প্রতি কিভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, কিভাবে রাসূলের সাথে কথা বলতে হবে, কথা বলার সময় কোন্ শব্দ চয়ন করে কথা বলতে হবে এবং কতটা উন্নত শিষ্টাচার প্রদর্শন করতে হবে, তা যেমন শিক্ষা দেয়া হলো তেমনি একথাও তাঁদেরকে জানিয়ে দেয়া হলো- তাঁরা যেনো ক্ষণিকের জন্যেও ভুলে না যায় যে, কোন্ ব্যক্তির সম্মুখে তাঁরা কথা বলছেন। তাঁরা সাধারণ কোনো মানুষের সাথে কথা বলছেন না, পৃথিবীর কোনো রাজা-বাদশাহ বা সম্রাটের সাথেও কথা বলছেন না। সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি এবং মহান আল্লাহ কর্তৃক সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত নবী-রাসূল (সা:) এর সাথে কথা বলছেন।
মহান আল্লাহর এ নির্দেশ শুধুমাত্র উপস্থিত সাহাবায়ে কেরামের জন্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কিয়ামত পর্যন্ত সকল মুসলমানের জন্যেই প্রযোজ্য। যদিও বর্তমানে দৈহিকভাবে নবী করীম (সা:) অনুপস্থিত। কিন্তু তাঁর প্রতি মহান আল্লাহ তা'য়ালা যে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন, সে কুরআন অবিকৃত অবস্থায় উপস্থিত। তাঁর মর্যাদাবান আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ উপস্থিত এবং তিনি যে আদর্শ সহকারে প্রেরিত হয়েছিলেন সেই 'ইসলাম' সার্বক্ষণিকভাবে উপস্থিত। জীবিত থাকা অবস্থায় নবী করীম (সা:) এর প্রতি সাহাবায়ে কেরাম সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন, বিনিময়ে মহান আল্লাহ তা'য়ালা পৃথিবীর নেতৃত্ব তাঁদের পদতলে এনে দিয়েছিলেন। সকল সমস্যা সমাধানের সুত্রের আশায় সমগ্র পৃথিবী তাঁদেরই দিকে চাতক পাখির মতোই তাকিয়ে থাকতো। তাঁদের প্রবর্তিত সভ্যতা-সংস্কৃতিই পৃথিবীতে বিজয়ীর আসনে আসীন হয়েছিলো। মহান আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত তাদেরকে মুক্তিকামী মানুষের আদর্শ ও অনুসরণীয় নেতা বানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর রাসূলের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শনের নগদ বিনিময় আল্লাহ তা'য়ালা পৃথিবীতে বাস্ত বে প্রদর্শন করেছেন।
মুসলিম মিল্লাতকে এ কথা স্মরণে রাখতে হবে, পৃথিবীতে তাদের উন্নতি, প্রগতি, মর্যাদা সকল কিছুই নবী করীম (সা:), কুরআন তথা তাঁর আনীত আদর্শের সাথে জড়িত। মুসলিম মিল্লাত যতদিন রাসূল (সা:), কুরআন ও তাঁর আনীত আদর্শের প্রতি মর্যাদা প্রদর্শন করেছে, ততদিনই তাঁরা মর্যাদার আসনে আসীন থেকেছে। আর যখনই তাঁরা এসবের প্রতি উদাসীন্য ও অবহেলা প্রদর্শন করেছে, তখনই তাঁরা ঘৃণা ও লাঞ্ছনার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে। সুতরাং নবী করীম (সা:) এর প্রতি অবতীর্ণকৃত কুরআন-হাদীস তথা ইসলামের আদেশ-নিষেধ শোনামাত্র যদি তাঁরা মর্যাদা প্রদর্শন ও আনুগত্যের মাথানত করে দেয়, তাহলে পুনরায় তাঁরা তাদের হারানো মর্যাদা ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ।
যে মুসলমানের হৃদয়ে সামান্য পরিমাণ ঈমানের গন্ধ রয়েছে, সেই মুসলমানও যখন নবী করীম (সা:) এর নাম বা তাঁর পবিত্র বিষয়সমূহ অথবা মদীনার প্রসঙ্গ শোনে, তখন তাঁর মনে ভিন্ন এক আবেগের ঢেউ খেলে যায়। মনে আক্ষেপ জাগে, একটিবার- মাত্র একটি বারও যদি আল্লাহর রাসূল (সা:) এর ঐ অপূর্ব সুন্দর চেহারা দেখতে পেতাম! যদি আমি সাহাবায়ে কেরামের একজন হতাম। স্বপ্নের মধ্যেও যদি সবথেকে ঐ সুন্দর মানুষটিকে পলকের জন্যেও দেখতে পেতাম! ক্ষণিকের জন্যেও যদি তাঁর পবিত্র সান্নিধ্য অনুভব করতে পারতাম।
নবী করীম (সাঃ) এর প্রসঙ্গ শুনলে এ ধরনের অনেক কল্পনাই মনের জগতে উঁকি দেয়। এর কারণ হলো, ইসলামী চিন্তা-চেতনাবোধ যাদের মধ্যে রয়েছে, অজান্তেই তাঁরা নবী করীম (সা:) এর প্রতি নিজ প্রাণের থেকেও বেশি আকর্ষণ অনুভব করে থাকেন। আর এই আকর্ষণের বাস্তব প্রকাশ হলো, নবী করীম (সা:) এর প্রতি কেউ সামান্য কটাক্ষ করলেও তাঁরা সহ্য করতে পারেন না। ঈমানের অন্যতম দাবী হলো, একজন মুসলমান আল্লাহর রাসূল (সা:) কে নিজ প্রাণের তুলনায় অধিক ভালোবাসবে। আর এই ভালোবাসার প্রমাণ সে দিবে নবী করীম (সা:) এর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে। শুধুমাত্র মুখে নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলে সে ভালোবাসার সামান্যতম মূল্যও দেয়া হবে না। যে ব্যক্তি আল্লাহর নবী (সা:) এর আদর্শ অনুসরণ করার জন্যে ব্যাকুল থাকে এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, বুঝতে হবে সেই ব্যক্তিই তাঁকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে।
0 Comments