নবী করীম (সা:) এর প্রতি শত্রুদের অভিযোগ, জবাব দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা

        পৃথিবীতে প্রেরিত নবী-রাসূলদের প্রতি সমকালীন লোকদের মধ্যে যারা বিরোধিতা করেছে তারা আল্লাহ তা'য়ালা কর্তৃক প্রেরিত হিদায়াতকারীদের প্রতি নানা ধরনের কল্পিত অভিযোগ আরোপ করার বৃথা চেষ্টা করেছে। শুধু কল্পিত বিশেষণই আরোপ করেনি, নবী-রাসূলদের ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করতেও তারা দ্বিধাবোধ করেনি। মানুষকে কল্যাণের দিকে আহ্বান করার ও সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্যে যে মানুষগুলোকে স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নির্বাচিত করে প্রেরণ করতেন, তাঁদের প্রতি মানুষ যে বর্বর আচরণ করতো সে কারণে আল্লাহ তা'য়ালা আফসোস করে বলেছেন-

يَا حَسْرَةٌ عَلَى الْعِبَادِ عِ مَا يَأْتِيْهِم مِّنْ رَّسُوْلٍ إِلَّا كَانُوا بِهِ يَسْتَهْزِؤُوْنَ

        বড়োই আফসোস (এমন সব) বান্দাদের ওপর, তাদের কাছে এমন একজন রাসূলও আসেনি, যাদের তারা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেনি! (সূরা ইয়াছিন-৩০)

        নবী করীম (সা:) এর পূর্বে যে সকল নবী-রাসূলদের প্রতি সমকালীন লোকজন ব্যঙ্গ- বিদ্রুপসহ নানা ধরনের কল্পিত অভিযোগ আরোপ করতো, এসবের জবাব স্বয়ং উক্ত নবী-রাসূলগণই দিতেন। হযরত নূহ (আ:)-এর প্রতি তাঁর জাতির নেতৃস্থানীয় লোকজন অভিযোগ করলো-

قَالَ الْمَلَأُ مِنْ قَوْمِهِ إِنَّا لَنَرَاكَ فِي ضَلَالٍ مُّبِيْنٍ

        তার জাতির নেতারা বললো (হে নূহ), আমরা দেখতে পাচ্ছি তুমি এক সুস্পষ্ট পথভ্রষ্টতায় (নিমজ্জিত) রয়েছো। (সূরা আল আ'রাফ-৬০)

        আল্লাহ তা'য়ালা হযরত নূহ (আ:) কে এক পথহারা জাতির কাছে প্রেরণ করলেন সঠিক পথপ্রদর্শনের জন্যে, আর সেই জাতির নেতৃস্থানীয় লোকজন নিজেদের নেতৃত্ব হারানোর আতঙ্কে হযরত নূহ (আ:) এর প্রতিই অভিযোগ করলো যে, 'তুমি নিজেই ভুল পথে রয়েছে এবং জাতিকেও ভুল পথের দিকেই ডাকছো'।

        আল্লাহ তা'য়ালা হযরত নূহ (আ:) কে প্রেরণ করলেন কিন্তু আল্লাহ তা'য়ালা তাঁর প্রেরিত নবীর শত্রুদের আরোপিত অভিযোগের জবাব দিলেন না, জবাব দিলেন স্বয়ং সেই নবী। জবাবে হযরত নূহ (আ:) জাতীয় নেতৃবৃন্দকে বললেন-

قَالَ يَا قَوْمِ لَيْسَ بِي ضَلَالَةٌ وَلَكِنِّي رَسُولٌ مِّنْ رَّبِّ الْعَالَمِينَ

        সে বললো, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, আমার মধ্যে কোনোই পথভ্রষ্টতা নেই, আমি তো হচ্ছি সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহর পক্ষ থেকে (আসা) একজন রাসূল। (সূরা আ'রাফ-৬১)

        হযরত হূদ (আ:) কে আল্লাহ তা'য়ালা প্রেরণ করলেন চরম ক্ষতির দিকে ধাবমান এক জাতির কাছে। তিনি সেই জাতিকে মহাক্ষতি থেকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে সীমাহীন প্রচেষ্টা শুরু করলেন। জাতির নেতৃবৃন্দ নিজেদের নেতৃত্বের আসন টলটলায়মান হতে দেখে আল্লাহর নবী হযরত হূদ (আ:) এর প্রতি অভিযোগ আরোপ করলো-

قَالَ الْمَلَأُ الَّذِيْنَ كَفَرُوا مِن قَوْمِهِ إِنَّا لَنَرَاكَ فِي سَفَاهَةٍ وَإِنَّا لَنَظُنُّكَ مِنَ الْكَاذِبِينَ

        তার জাতির নেতৃবৃন্দ, যারা (তাকে) অস্বীকার করেছে, তারা বললো, আমরা তো দেখছি তুমি নির্বুদ্ধিতায় লিপ্ত আছো এবং আমরা মনে করি তুমি মিথ্যাবাদীদেরই একজন। (সূরা আল আ'রাফ-৬৬)

        আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে বলছেন হযরত হূদ (আ:) এ অভিযোগের জবাব কিভাবে দিয়েছিলেন-

قَالَ يَا قَوْمِ لَيْسَ بِي سَفَاهَةٌ وَلَكِنِّي رَسُوْلٌ مِّنْ رَّبِّ الْعَالَمِينَ

        সে বললো, হে আমার সম্প্রদায়ের লোকেরা, আমার সাথে কোনোরকম নির্বুদ্ধিতা জড়িত নেই, বরং আমি (হচ্ছি) সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে (আগত) একজন রাসূল।

(সূরা আল আ'রাফ-৬৭)

        পবিত্র কুরআনে বর্ণিত নবী-রাসূলগণের ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে প্রমাণ হয় যে, তাদের প্রতি সমকালীন লোকজন যে সকল অভিযোগ আরোপ করেছেন এবং তাদের ব্যাপারে কল্পিত যেসব আপত্তি উত্থাপন করেছে তার জবাব নবী-রাসূলগণ স্বয়ং দিয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র নবী করীম (সা:) এর ক্ষেত্রে। মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাঁকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন বিধায় সমকালীন বিরোধিগণ তাঁর পবিত্র সত্তার প্রতি যেসকল ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছে এবং যেসব কল্পিত বিশেষণে বিশেষিত করার অপচেষ্টা করেছে, এসব কিছুর জবাব দেয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। ইসলামী আন্দোলনের শত্রুরা নবী করীম (সা:) সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করতো যে, এ লোকটি পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাদের এ অপবাদের জবাব নবী করীম (সা:) দিবেন, আল্লাহ তা'য়ালা তা পছন্দ করলেন না। স্বয়ং তিনি এভাবে জবাব দিলেন-

مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوى ط 

        তোমাদের সাথী পথ ভুলে যায়নি, সে পথভ্রষ্টও হয়নি। (সূরা আন নাজম-২)

        ইসলামী জীবন বিধানের প্রতিপক্ষগণ নবী করীম (সা:)-কে গণবিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যে তাঁকে সর্বসাধারণের কাছে উন্মাদ হিসাবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করে প্রচার করেছে, 'মুহাম্মাদ (সা:)-এর মস্তিষ্কে ত্রুটি দেখা দিয়েছে, তিনি সুস্থ নন বরং পাগল হয়ে গিয়েছেন'। শত্রুদের এসব কল্পনাপ্রসূত অভিযোগের জবাব স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা শপথের মাধ্যমে দিয়েছেন-

وَالْقَلَمِ وَمَا يَسْطُرُوْنَ لا مَا أَنتَ بِنِعْمَةِ رَبِّكَ بِمَجْنُوْنَ 

        শপথ (লেখার মাধ্যম) কলমের, (আরো শপথ এ কলম দিয়ে) তারা যা লিখে রাখছে তার, আপনার মালিকের (অসীম) দয়ায় আপনি পাগল নন। (সূরা কালাম-১-২)

        পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে নবী করীম (সা:) যাদের মাঝে নিজের শৈশব, কৈশর, তারুণ্য ও যৌবন অতিক্রম করে চল্লিশ বছরে পদার্পণ করলেন, তারাই তো তাঁকে ভালোভাবে চিনেছে এ মানুষটি কেমন। চিনেছে বলেই তারা তাঁকে পরম শ্রদ্ধাভরে উপাধি দিয়েছে 'আল আমীন বা বিশ্বাসী'। নবী করীম (সা:) এর ইসলামী আন্দোলনের ঢেউ যখন তাদের প্রতিষ্ঠিত স্বার্থে আঘাত হানলো, তখন তারাই আল্লাহর রাসূল (সা:) কে পাগল হিসাবে আখ্যায়িত করার লক্ষ্যে প্রচার শুরু করলো। তিনি পাগল নন অথবা সকলের তুলনায় সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী এ কথা তারাই ভালো জানতো, যারা তাঁর প্রতি এ ঘৃণ্য অভিযোগ আরোপ করার চেষ্টা করছে। তারা অপবাদ দিয়েছে-

وَقَالُوا يَا أَيُّهَا الَّذِي نُزِّلَ عَلَيْهِ الذِّكْرُ إِنَّكَ لَمَجْنُونٌ ط

        তারা বলে, ওহে- যার ওপর কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে- তুমি অবশ্যই একজন উন্মাদ ব্যক্তি। (সূরা হিজর-৬)

        স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা অভিযোগকারীদের লক্ষ্য করে জবাব দিলেন-

وَمَا صَاحِبُكُمْ بِمَجْنُوْنَ جِ

        তোমাদের সাথী (কিন্তু) পাগল নয়। (সূরা তাকবীর-২২)

        দুশমনরা সাধারণ মানুষকে পবিত্র কুরআন থেকে দূরে রাখার লক্ষ্যে প্রচার করেছে, মুহাম্মাদ (সা:) আল্লাহ তা'য়ালার বাণী বলে যা দাবী করছেন তা মোটেও সত্য নয়, বরং এসব তাঁর নিজের রচনা করা কথা। শত্রুদের এসব অপবাদের জবাব স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালা এভাবে দিয়েছেন-

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى طَ إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى لا 

        সে কখনো নিজের থেকে কোনো কথা বলে না, বরং তা হচ্ছে ওহী যা (তার কাছে) পাঠানো হয়। (সূরা আন নাজম-৩-৪)

        দুশমনদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছে, মুহাম্মাদ (সা:) যে সকল কথা কুরআন বলে প্রচার করছে তা আল্লাহ তা'য়ালা অবতীর্ণ করেননি, বরং শয়তান এসব কথা তাঁকে দিয়ে বলাচ্ছে। শত্রুদের এসব ভিত্তিহীন কথার জবাব আল্লাহ তা'য়ালা দিয়েছেন-

وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَيْطَانٍ رَحِيمٍ لا

        এটা অভিশপ্ত শয়তানের কথাও নয়। (সূরা তাকবীর-২৫)

        শত্রুপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে, 'মুহাম্মাদ (সা:) একজন শ্রেষ্ঠ কবি অথবা তিনি উচ্চপর্যায়ের একজন গণক বা জ্যোতিষী'। তাদের এসব প্রশ্নের জবাব নবী করীম (সা:) দিতে গিয়ে সামান্যতম কষ্টানুভব করবেন আল্লাহ তা'য়ালা তা বরদাস্ত করেননি। তিনি স্বয়ং জবাব দিলেন-

فَلَا أُقْسِمُ بِمَا تُبْصِرُوْنَ لَا وَمَا لَا تُبْصِرُوْنَ لَا إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُوْلٍ كَرِيمٍ جِ لَا وَمَا هُوَ بِقَوْلِ شَاعِرِطَ قَلِيلًا مَّا تُؤْمِنُوْنَ لا وَلَا بِقَوْلِ كَاهِنٍ طَ قَلِيْلًا مَّا تَذَكَّرُوْنَ طَ تَنْزِيلٌ مَنْ رَّبِّ الْعَالَمِينَ

        তোমরা যা কিছু দেখতে পাও আমি তার শপথ করে বলছি, (আরো শপথ করছি) সেসব বস্তুর যা তোমরা দেখতে পাও না, নিঃসন্দেহে এ কিতাব একজন সম্মানিত রাসূলের (আনীত) বাণী, এটা কোনো কবির কাব্যকথা নয়; যদিও তোমরা খুব কমই বিশ্বাস করো, এটা কোনো গণক বা জ্যোতিষীর কথাও নয়; যদিও তোমরা খুব কমই বিবেক- বিবেচনা করে চলো; (মূলত) এ কিতাব বিশ্বজগতের মালিক আল্লাহ তা'য়ালার কাছ থেকেই (তাঁর রাসূলের ওপর) অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আল হাক্কাহ্ ৩৮-৪৩)

        মহান আল্লাহ তা'য়ালার দ্বীনের বিরোধিগণ জনসাধারণকে বুঝাতো, 'মুহাম্মাদ (সা:) একজন পথহারা কবি এবং এমন একজন পথভ্রষ্ট কবিয়ালের কথায় কি শতাব্দীর পর শতাব্দী ব্যাপী যাদেরকে নিজের উপাস্য দেবতা হিসাবে পূজা দিয়ে আসছি, তাদেরকে কি আমরা ত্যাগ করতে পারি?' তাদের এসব উদ্ভট কথার জবাব আল্লাহ তা'য়ালা এভাবে দিয়েছেন-

وَيَقُولُونَ أَئِنَّا لَتَارِكُوا آلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُوْنٍ طَ بَلْ جَاءَ بِالْحَقِّ وَصَدَّقَ الْمُرْسَلِينَ

        এরা বলতো, আমরা কি একজন পাগল কবিয়ালের কথায় আমাদের মাবুদদের (আনুগত্য) ছেড়ে দিবো? (অথচ আমার নবী কোনো কাব্য নিয়ে আসেনি,) বরং তিনি এসেছেন সত্য (দ্বীন) নিয়ে এবং তিনি (আগের) নবীদের সত্যতাও স্বীকার করছেন।
(সূরা আছ ছাফ্ফাত-৩৬-৩৭)

        মহান আল্লাহ তা'য়ালা নবী করীম (সা:) কে সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রদান করেছেন এবং মর্যাদার সাথে সঙ্গতি রেখে বিরোধিদের উত্থাপিত অভিযোগের জবাবে বলেছেন-

فَذَكِّرْ فَمَا أَنْتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَلَا مَجْنُونِ

        অতএব (হে নবী, মানুষদের) আপনি এ দিনের কথা স্মরণ করাতে থাকুন, আল্লাহ তা'য়ালার অনুগ্রহে আপনি কোনো গণক নন, আবার আপনি কোনো পাগলও নন (আপনি হচ্ছেন তাঁর বাণী বহনকারী একজন রাসূল মাত্র)। (সূরা আত তুর-২৯)

        নবী করীম (সা:) এর মর্যাদার সাথে কাব্য রচনা সঙ্গতিপূর্ণ নয়, এ বিষয়টি মানুষের কাছে স্পষ্ট তুলে ধরে মহান আল্লাহ তা'য়ালা ঘোষণা করলেন-

وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشَّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ ط إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ 

        (তোমরা এও জেনে রেখো,) আমি এ (রাসূল)-কে কাব্য (রচনা) শেখাইনি এবং এটা তার (নবী মর্যাদার) পক্ষে শোভনীয়ও নয়; (আর তার আনীত গ্রন্থ) তা হচ্ছে একটি উপদেশ ও সুস্পষ্ট কুরআন। (সূরা ইয়াছিন-৬৯)

        নবী-রাসূলদের অস্বীকারকারীগণ তাদেরই অনুরূপ আরেকজন মানুষকে নবী-রাসূল হিসাবে দাবী করতে দেখে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যেতো। তাদের ধারণা ছিলো, নবী- রাসূলগণ হবেন মানুষ প্রজাতির বাইরের কেউ এবং নিতান্তই যদি সে মানুষ হয় তাহলে তো তাঁর সাথে অবশ্যই আল্লাহ তা'য়ালা একজন ফিরিশতা পাঠাবেন এবং তিনি নবী-রাসূলকে সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে পরিচয় করিয়ে দিবেন যে, 'তিনি আল্লাহ তা'য়ালার পক্ষ থেকে প্রেরিত, তোমরা তাঁর অনুসরণ করো। যদি তাঁর অনুসরণ না করো তাহলে তোমাদের ওপর আযাব নিপতিত হবে'। এ ধারণার বশবর্তী হয়ে তারা প্রশ্ন তুলতো, 'এ আবার কেমন নবী-রাসূল যে, তিনি আমাদের মতোই মানুষ এবং আমাদের মধ্যে যে মানবীয় গুণ-বৈশিষ্ট রয়েছে একজন নবীর মধ্যেও তা রয়েছে'।

        নবী করীম (সা:) এর সম্পর্কে যখন অজ্ঞ লোকজন এমন প্রশ্ন তুললো, 'এ আবার কেমন (ধরনের) রাসূল যে (আমাদের মতো করেই) খাবার খায় এবং (আমাদের মতোই) হাটে বাজারে চলাফেরা করে। কেনো তাঁর সাথে কোনো ফিরিশতা নাযিল করা হলো না যে, তার সাথে (আযাবের) সতর্ককারী হয়ে থাকবে!' অস্বীকারকারীদের এসব

        উদ্ভট প্রশ্নের জবাবে মহান আল্লাহ বলেন-

 وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَيَمْشُوْنَ فِي الْأَسْوَاقِ ط وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةٌ طَ أَتَصْبِرُوْنَ جِ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيرًاع

        (হে নবী) আপনার পূর্বে আমি আরো যতো রাসূল প্রেরণ করেছি, তারা (মানুষের মতোই) আহার করতো, (অন্য মানুষদের মতোই) তারা হাটে বাজারে যেতো (আসল কথা হচ্ছে) মানুষদের মধ্য থেকে রাসূল পাঠিয়ে আমি তোমাদের একজনকে আরেকজনের জন্য পরীক্ষার (উপকরণ) বানিয়েছি; (এ পরীক্ষায়) তোমরা কি ধৈর্য ধারণ করবে না? তোমার মালিক (কিন্তু তোমাদের) সবকিছুই দেখছেন। 
(সূরা আল ফুরকান-২০)

Post a Comment

0 Comments