চন্দ্র ও সূর্যের সম্পর্ক কি

       
         চাঁদ পৃথিবীর নিকটতম মহাকাশীয় জ্যোতিষ্ক ও প্রাকৃতিক উপগ্রহ। এর ব্যাস প্রায় দুই হাজার মাইল অর্থাৎ পৃথিবীর এক চতুর্থাংশ মাত্র। পৃথিবী হতে গড়ে প্রায় দু'লক্ষ ত্রিশ হাজার মাইল দূরে অবস্থান করছে। পবিত্র কোরআনে বলা হচ্ছে-

وجَعَلَ الْقَمَرَ فِيهِنَّ نُورًا وَجَعَلَ الشَّمْسِ سَرَاجًا

         আর সেথায় চন্দ্রকে স্থাপন করেছেন আলোকরূপে ও সূর্যকে স্থাপন করেছেন প্রদীপরূপে। 
(নুহ: ১৬)

        বর্তমান বিজ্ঞান আমাদের মানবসমাজ হতে বেশ কয়েকজনকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করাতে বাস্তবভাবে সফল হয়েছে। সাথে সাথে চন্দ্রের সর্ববিষয়ে অনেক ছবি পৃথিবীর মানুষের সম্মুখে তুলে ধরেছে। তাতে বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে, চাঁদে কোন বায়ুমণ্ডল নেই এবং সে কারণে চাঁদ নিজ দেহকে মহাজাগতিক পাথরখণ্ড বা গ্রহাণুদের সরাসরি আক্রমণ হতে রক্ষা করতে পারে না। সমগ্র চন্দ্রপৃষ্ঠটি মহাকাশীয় পাথর এবং ধূমকেতুর আঘাতজনিত ক্ষতচিহ্ন দিয়ে ভরপুর হয়ে রয়েছে। এ ক্ষতচিহ্নমূলক অধিকাংশ পুরানো গর্তগুলো গলিত লাভা দিয়ে প্রায় ভরে আছে। চাঁদের গঠন হচ্ছে কঠিন অমসৃণ মাটি ও পাথরস্তূপ দিয়ে। জলবায়ু না থাকায় ব্যাপকভাবে রুক্ষ ও বন্ধুর হয়ে পড়েছে।..

        বিজ্ঞান অবহিত করছে, যখন কোন পাথরখণ্ড বা গ্রহাণু মহাশূন্য হতে চাঁদের মধ্যাকর্ষণের কারণে তার পৃষ্ঠের দিকে সবেগে ছুটে আসতে থাকে তখন চাঁদের কোন বায়ুমণ্ডল না থাকায় এরা বিনা বাঁধায় এত প্রচণ্ড গতিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে যে, পতিত স্থানে কল্পনাতীত ধাক্কায় Fusion পদ্ধতিতে পারমাণবিক বোমার মত ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ঘটে। ফলে ব্যাপক তাপের সৃষ্টি হওয়ায় পতিত স্থানে মুহূর্তেই
বিরাট অগ্নিগোলকের সৃষ্টি হয়। অগ্নিগোলকের প্রচণ্ড তাপে চাঁদের শক্ত-কঠিন মাটি, পাথর সব গলে গিয়ে উত্তপ্ত লাভায় পরিণত হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

والشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَان 

        সূর্য এবং চন্দ্র (মহান আল্লাহর) গণনায় নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। (সূরা রহমান-৫)

সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্ব

        মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন-

وَالسَّمَاءَ بَنَيْنِهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُوْنَ

        আমি আমার নিজস্ব ক্ষমতা বলেই এই আকাশ সৃষ্টি করেছি, অবশ্যই আমি মহান ক্ষমতাশালী। 
(সূরা যারিয়াত-৪৭)

        এই আয়াতে ব্যবহৃত 'মুছিউন' শব্দের অর্থ, বিশালতা ও বিস্তৃতি দানকারী, ধনীগণ, বিত্তশালীগণ, প্রচন্ড ক্ষমতাধর, শক্তির নিরিখে কোন কিছুর সম্প্রসারণ বা বৃদ্ধি ঘটানো ইত্যাদি হয়ে থাকে। পক্ষান্তরে এখানে আকাশমন্ডলের প্রসঙ্গে উক্ত শব্দের অর্থ দাঁড়াবে বিস্তৃতি ও বিশালতা দানকারী। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির শুর থেকেই সম্প্রসারিত হচ্ছে বর্তমানেও সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং অনন্ত কাল ধরে সম্প্রসারিত হতেই থাকবে। যখন মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ গতি স্তব্ধ হয়ে যাবে, তখনই ঘটবে মহাপ্রলয়। মহাবিশ্বে যদি সম্প্রসারণ গতি না থাকতো, তাহলে মহাবিশ্বের কোন বস্তুরই বিকাশ ঘটতো না এবং যে গতিতে মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে, সে গতি সামান্য কম বা বেশী হলে মহাবিপর্যয় ঘটতো, মহাবিশ্বের কোন অস্তিত্বই থাকতো না।

        মহাবিশ্ব কি নিয়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ প্রশ্নের পরিপূর্ণ উত্তর মানুষের জানা নেই। বিজ্ঞানীগণ এ সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করে যতটুকু জানতে পেরেছেন, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে, আমরা খালি চোখে এবং দূরবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে এই মহাবিশ্বের যে অবস্থা দেখতে পাই, এর থেকে কয়েক শত কোটিগুণ বিশাল হলো এই মহাবিশ্ব। মানুষ ধারণা করতো রাতের দৃশ্য অসীম আকাশই হলো মহাবিশ্ব জগৎ। কিন্তু মাত্র কিছুদিন পূর্বে বিজ্ঞানীগণ দেখতে পেলেন, দৃশ্য জগতের অগণিত অযুত নক্ষত্রমালা শুধুমাত্র একটি গ্যালাক্সি যা পৃথিবীর ছায়াপথের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ দৃশ্যমান মহাবিশ্বের মানে হলো দৃশ্যমান নিকটতম প্রতিবেশী, যা আমাদের থেকে প্রায় ২২ লক্ষ আলোক বর্ষ দূরের আর বিপুল বিরাট জগৎ, নক্ষত্র ধারণ ক্ষমতায় যা ছায়াপথের তিনগুণ এবং বিশাল জগতটিও লক্ষ কোটি আলোক বর্ষ দূর-দূরান্তে অবস্থিত একশত কোটির মধ্যে একটি- সামান্য গ্যালাক্সি মাত্র। এই আলোক বর্ষের হিসাবটি কি! আমাদের জানা আছে যে, আলো প্রতি মুহূর্তে ১, ৮৬, ০০০ মাইল বেগে ধাবিত হয়ে থাকে।

        অর্থাৎ আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল তথা আলো প্রতি সেকেন্ডে ৩,০০,০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। সুতরাং আলোর এক মিনিটে অতিক্রমযোগ্য দূরত্ব হলো তার ৬০ গুণ। তাহলে ঘন্টায় বৃদ্ধি পায় আরো ৬০ গুণ। দিনে বৃদ্ধি পায় আরো ২৪ গুণ। বছরে বৃদ্ধি পায় ৩৬৫, ২৫ গুণ। যার দূরত্বের দৈর্ঘ্য হলো কমবেশী ৫, ৮৬৯, ৭১৩, ৬০০, ০০০ মাইল। এর নাম হলো আলোক বর্ষ আর এই হিসাবে পৃথিবী যে গ্যালাক্সিতে রয়েছে তার ব্যাস হলো ১০০, ০০০ গুণ বা ৫৮৬, ৯৭১, ৩৬০, ০০০, ০০০, ০০০ মাইল-যা ভাষার তুলিতে প্রকাশ করা কষ্টসাধ্য। এটা হলো সেই গ্যালাক্সির মাপ বলেছেন বিজ্ঞানীরা, যেটায় এই পৃথিবী অবস্থান করছে। আর এর থেকে কয়েক কোটি গুণে বড় গ্যালাক্সি রয়েছে ঊর্ধ্ব আকাশে এবং এ ধরনের অতিকায় গ্যালাক্সির সংখ্যা যে কত কোটি, তা বিজ্ঞানীরা আজো জানে না।

        আর এসব গ্যালাক্সি একটির থেকে আরেকটি ১৬০, ০০০ থেকে ১০, ০০০, ০০০, ০০০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থান করছে এবং যার যার দূরত্ব ঠিক রেখে প্রতি সেকেন্ডে আলোর গতিতে ধাবিত হচ্ছে। এই পৃথিবী যে গ্যালাক্সি গুচ্ছে অবস্থান করছে বিজ্ঞানীদের ধারণা অনুসারে এই গ্যালাক্সির সংখ্যা হলো মাত্র ২০টি। আর পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা যেসব বিশাল গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছেন, সেসব গ্যালাক্সি মহাবিশ্বের মহাশূন্যতার মহাসমুদ্রে এক একটি বিশাল জগৎ, যে জগৎ সম্পর্কে মানুষ কল্পনাই করতে পারে না। এসব গ্যালাক্সি বিপুল বিস্তৃতি নিয়ে ব্যাপ্ত রয়েছে। এসব গ্যালাক্সির সামনে আমাদের দৃশ্যমান এই বিশাল জগৎ ক্ষুদ্র একটি বালু কণার সমানও নয়। পৃথিবীর ছায়াপথ বা মিল্কীওয়ে এক অতি সাধারণ দীন হীন গ্যালাক্সি, অনন্ত ঐ মহাবিশ্বে যার কোন উল্লেখযোগ্য স্থান নেই।

        বর্তমানের বিজ্ঞানীরা এই পৃথিবী থেকে ঊর্ধ্ব আকাশের মাত্র ১০, ০০০ মিলিয়ন আলোক বর্ষ দূরের কোয়াসারকে আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। অর্থাৎ ১০, ০০০ মিলিয়ন আলোক বছর দূরত্বের ওপারে ঐ মহাশূন্যে আরো কত বিশাল জগৎ যে রয়েছে, এ সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কোন ধারণাই নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতদিন মানুষ যাকে বিশ্বজগৎ বলে মনে করেছে, এই বিশ্বজগতের সমান এবং এর থেকে কয়েক কোটি গুণে বিশাল জগতের সংখ্যা ঐ মহাশূন্যে ১০০ কোটির বেশী। তারা বলছেন, ঐ এক একটি জগতের মধ্যে রয়েছে কল্পনার অতীত অগণিত বিশাল ছায়াপথ, এসব ছায়াপথে রয়েছে অকল্পনীয় সংখ্যক সূর্য, তারকা, নক্ষত্র, গ্রহ-উপগ্রহ ইত্যাদি।

        এসব কিছুই সৃষ্টির শুরু থেকেই সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই পৃথিবী এবং গ্যালাক্সি কেন্দ্রের মাঝে অবস্থিত বাহু প্রতি মুহূর্তে ৫৩ কিলোমিটার বেগে এবং বিপরীত বাহু প্রতি সেকেন্ডে ১৩৫- কিলোমিটার বেগে সম্প্রসারিত হচ্ছে। একই পদ্ধতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে ২০০০ আলোক বর্ষ ব্যাসের গ্যালাক্সি কেন্দ্রও প্রতি সেকেন্ডে ৪০ কিলোমিটার গতিতে। আর এই সম্প্রসারণ নীতি গ্যালাক্সির ভেতরে, বাইরে ও গ্যালাক্সিসমূহের মধ্যে সামগ্রিকভাবে প্রযোজ্য। একটি গ্যালাক্সি থেকে আরেকটি গ্যালাক্সির দূরত্ব শত কোটি আলোক বর্ষ এবং এই দূরত্বের মাঝে রয়েছে আরো অগণিত বস্তু। কোন কোন গ্যালাক্সি আলোর গতিতে এক অজানা পথে সৃষ্টির শুরু থেকেই ছুটে চলেছে। মানুষ বিজ্ঞানীরা ১১, ০০০ মিলিয়ন আলোক বর্ষের ওপারে কোন গ্যালাক্সি চলে গেলে আর দেখতে পান না।

        এর পরিষ্কার অর্থ হলো, প্রতি মুহূর্তে কত শতকোটি গ্যালাক্সি কোথায় কোন দূর অজানায় হারিয়ে গিয়েছে, তার সন্ধান একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ জানে না। ১১, ০০০ মিলিয়ন দূরের গ্যালাক্সির সন্ধান বিজ্ঞানীদের জানা নেই এবং এই দূরত্বের পরে আর কি রয়েছে, তাও তাদের জানা নেই। আর এসবের কত ওপরে যে আকাশ রয়েছে, তা বিজ্ঞানীরা কল্পনাও করতে সক্ষম নয়। সুতরাং আকাশ সম্পর্কে তারা কিভাবে ধারণা দেবে! মহাকাশের এতকিছু নিয়ে গোটা মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে এ অবস্থায় যখন তা শেষ সীমানায় পৌঁছে যাবে, তখন ঐ মহাকাশ বেলুনের মতই ফেটে চৌচির হয়ে যাবে।

        ছোট্ট একটি কথায় এই মহাবিশ্বের আকৃতি তুলনা করা যায় এভাবে যে, বিজ্ঞানীগণ এই পৃথিবী ও পৃথিবী থেকে মহাশূন্যের দিকে ১১, ০০০ মিলিয়ন আলোক বৰ্ষ দূরের যে মহাবিশ্বের সন্ধান পেয়েছেন, তা গোটা বিশ্বের সমস্ত বালু কণার তুলনায় একটি মাত্র বালুকণার সমান। সমস্ত কিছুই এক অবিশ্বাস্য গতিতে এক অজানা পথে কৃষ্ণ গহ্বরের দিকে ছুটে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীবাসীকে জানিয়েছেন, আকাশমন্ডল ফেটে চৌচির হয়ে যাবে-সেদিকেই মহাবিশ্ব ধাবমান। অথচ এই একই কথা মহান আল্লাহ তা'য়ালা সেই চৌদ্দশত বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে জানিয়েছেন।

        কিয়ামতের দিন সেদিন তারকাসমূহ এলোমেলো বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। কিভারে তা পড়বে, বর্তমানে বিজ্ঞানীগণ তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই মহাবিশ্বের প্রতিটি রন্তু পরস্পরকে তীব্র গতিতে আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। এই আকর্ষণী শক্তিকে বিজ্ঞানীগণ বলেছেন (Gravitational Force) বা মহাকর্ষীয় শক্তি। সৌর জগতের সমস্ত গ্রহ সূর্যের আকর্ষণে আবর্তিত হয়ে থাকে আবার উপগ্রহগুলো গ্রহের আকর্ষণে আবর্তিত হয়। গ্রহাণুপুঞ্জ সূর্যের চারদিকে দ্যবদ্ধভাবে পরিক্রমণ করে। এভাবে একক গ্যালাক্সি গুচ্ছ গ্যালাক্সির আকর্ষণে আবর্তিত হয়। এভাবে করে প্রতিটি বস্তুই একে অপরের সাথে মিলিত হতে আগ্রহী। পক্ষন্তরে এই মিলন ঘটতে না পারার কারণ হলো অর্থাৎ মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ গতি (Force of Expansion.)। এই গতির ফলেই পরস্পরের মধ্যে Space সৃষ্টি হয় এবং দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। 1

        মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই সম্প্রসারণ গতি একদিন হরণ করবেন। বিজ্ঞানীগণও বলছেন, সম্প্রসারণ গতি ক্রমান্বয়ে থেমে যাবে। তখন মহাকর্ষীয় আকর্ষণে গ্রহ, উপগ্রহ, গ্যালাক্সি গুচ্ছ, নক্ষত্রপুঞ্জ পরস্পরের কাছে তাদের অকল্পনীয় গতি নিয়ে। ফলে একটির সাথে আরেকটির মহাসংঘর্ষ ঘটবে। তখন সমন্ত নক্ষত্রগুলো বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে, আলোচ্য সূরার দ্বিতীয় আয়াতে যে কথা বলা হয়েছে। মহাকর্ষ শক্তি মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ (Expansion) স্তব্ধ করে দেবে মহাজাগতিক পদার্থের ঘনত্ব সৃষ্টি করে। মহাজাগতিক পদার্থের ঘনত্ব এক সময় এত অধিক বৃদ্ধি লাভ করবে যে, তখন মহাকর্ষ শাক্তি অধিক পরিমাণে শক্তিশালী হবে। ফলে মহাবিশ্বের প্রসারণ বন্ধ করে মহাসংকোচের দিকে নিয়ে যাবে। এই অবস্থাকে বিজ্ঞানীগণ বলেছেন Big Crunch.

        অর্থাৎ আল্লাহর কোরআনের সূরা দুখানে যেমন বলা হয়েছে, আদিতে সমস্ত কিছুই একটি বিন্দুতে ধূমায়িত ছিল এবং আল্লাহ তা'য়ালা তা মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে সম্প্রসারিত করেছেন, তেমনি Big Crunch-এর মাধ্যমে পুনরায় মহাবিশ্ব একটি বিন্দুতে এসে বিস্ফোরিত হবে। বিজ্ঞানীগণ বলছেন, মহাকাশে নতুন নতুন নক্ষত্র, গ্যালাক্সি, কোয়াসার ইত্যাদি সৃষ্টি হচ্ছে এবং এই কারণে মহাজাগতিক গড় ঘনত্ব প্রভাবিত হচ্ছে। আবার মহাবিশ্বের প্রতিটি পরমাণুর ভেতর ১০ কোটি ণর্লরধভম রয়েছে। এর পরিমাণও বিশাল ভরে সমৃদ্ধ এবং তাদের মোট ওজন মহাবিশ্ব closed করার জন্য যথেষ্ট।

        এ ছাড়া বিপুল পরিমাণ মহাজাগতিক ধূলি (Cosmie Dust) মহাবিশ্বের গড় ঘনত্ব বৃদ্ধি করছে। যেমন প্রতি বছর ১০ হাজার টন ধূলি কণা শুধু পৃথিবী গ্রহে পতিত হয়। এরপরে রয়েছে মহাকাশে রয়েছে কৃষ্ণ বিবর (Black Hole)। বিজ্ঞানীদের ধারণা মহাকর্ষের আকর্ষণে নক্ষত্রগুলো পরস্পরের কাছাকাছি হলেই সংঘর্ষ হয় তখন Black Hole-এর সৃষ্টি হয়। কিয়ামতের দিন মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ গতি স্তব্ধ হয়ে যাবে এবং মহাশূন্যের সমস্ত গ্রহ, উপগ্রহ, গ্যালাক্সি গুচ্ছ, নক্ষত্রমন্ডলী তীব্র আকর্ষের কারণে একে অপরের দিকে আলোর গতিতে ছুটে আসতে থাকষে। তখন একটির সাথে আরেকটির সংঘর্ষ ঘটবে এবং তারকাসমূহ বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়তে থাকবে।

Post a Comment

0 Comments