হজ্জ্বের ফজীলত কেমন ?

আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেনঃ

        "অ আযযিন ফিন্নাসি বিলহাজ্জি ইয়া'তুকা রিজালাও অ আ'লা কুল্লি দ্বামিরি ইয়া'তীন। মিন কুল্লি ফাজজিন আমীকু"

        অর্থাৎ মানুষের মধ্যে হজ্জ্বের বিষয় জানিয়ে দাও যে, তারা তোমার কাছে পদব্রজে বা সক্ষম উটের পিঠে আরোহণ করে আসুক। হযরত কাতাদাহ (রাঃ) এ আয়াতের তাফসীর সম্পর্কে বলেন, আল্লাহ যখন হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-কে হজ্জ্বের ঘোষণা দিতে নির্দেশ করলেন, তখন তিনি উচ্চকণ্ঠে আওয়াজ দিয়ে বললেন, হে লোকগণ। আল্লাহ তায়ালা এক গৃহ নির্মাণ করেছেন। তোমরা তার হজ্ব কর। আল্লাহ তায়ালা তাঁর সে কন্ঠের আওয়াজ এমন সব মানুষের কানে পৌঁছে দিলেন, যাদের সম্পর্কে তার জানা ছিল যে, তারা কিয়ামত পর্যন্ত হজ্জ্ব করবে। আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেনঃ লিইয়াশহাদু আনাফিআ' লাহুম" তারা যেন তাদের ফায়েদাহ লাভের স্থানে পৌঁছে। কোন কোন ব্যাখ্যাকার বলেন যে, ফায়েদাহ লাভের স্থানের তাৎপর্য হল, মওসুমী ব্যবসা বাণিজ্য এবং আখেরাতের ছওয়াবের স্থান। কুরআনে পাকে আল্লাহ তায়ালা শয়তানের এই উক্তি উদ্ধৃত করেছেনঃ

    "লা আকুউদান্না লাহুম ছিরাত্মাকাল মুস্তাক্বীম। অর্থাৎ আমি নিশ্চয় তাদের জন্য তোমার সরল পথে বসে থাকব। ব্যাখ্যাকারদের মতে, এর অর্থ, শয়তান মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বা তাদেরকে মক্কায় যেতে বাধা দেয়ার জন্য মক্কার পথে বসে থাকবে। ব্যাখ্যাকারদের মতে সরলপথের অর্থে মক্কার পথের কথা বলা হয়েছে। মানুষকে হজ্জ্ব থেকে বিরত রাখাই শয়তানের, এ পথে বসার কারণ। হুযুরে পাক (দঃ) এবশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি খানায় কা'বার হজ্জ্ব করে, তারপর কোন অশ্লীল কাজ ও পাপাচার লিপ্ত না হয়, সে ব্যক্তি তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিনের মত গুনাহ-মুক্ত হয়ে যায়। হুযুরে পাক (দঃ) আরও বলেছেনঃ শয়তানকে আরফার দিনের মত আর কোনদিন অত বেশী লাঞ্ছিত, বিতাড়িত, হেয় ও ক্রোধান্বিত দেখা যায় না। এর কারণ, সে দিন সে আল্লাহর রহমত নাযিল এবং গুনাহ কবীরাহ সমূহ ক্ষমা কর। প্রত্যক্ষ করে। এরূপ বর্ণিত আছে যে, কোন কোন বিশেষ গুনাহ শুধু আরাফাতে অবস্থানের ফলেই মার্জিত হয়। ইমাম জা'ফর (রহঃ) এ উক্তিকে হুযুরে পাক (দঃ)-এর হাদীস বলে সনদসহ বর্ণনা করেছেন।

        জনৈক কাশফবিশিষ্ট অলীআল্লাহ বর্ণনা করেছেন যে, মালউন ইবলীস একটি লোকের আকৃতি ধরে আরাফাতে তার কাছে হাজির হল, তিনি তাকে অত্যন্ত কৃশাঙ্গ, বিমর্ষ, ক্রন্দনরত এবং কুজ অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার ক্রন্দনের হেতু কি? সে বলল, কি বলব, যত হাজী এসেছে সবাই শুধু আল্লাহর উদ্দেশ্যেই এসেছে, ব্যবসা বাণিজ্য কারোই লক্ষ্য নয়; সুতরাং আল্লাহ যদি তাদেরকে সফল করেন তবে যে, আমার সর্বনাশ হয়ে যাবে। সে দুঃখে ও আশংকায়ই আমি কাঁদছি। অলী বললেন, তোর এরূপ কৃশ হবার কারণ কি? ইবলীস বলল, আল্লাহর পথে আগত অশ্বখুরের আওয়াজের ত্রাস আমার এ অবস্থা করেছে। অলী জিজ্ঞেস করলেন, তুই এরূপ কুজ হয়ে গেলি কেন? ইবলীস বলল, মানুষ শুধু এই দোয়া করছে যে, হে মাবুদ! আমি আমার কল্যাণকর পরিণতি কামনা করি। হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজ্জ এবং ওমরাহ করার নিয়তে ঘর থেকে বের হয়ে মৃত্যু বরণ করে, তার জন্য হজ্জকারী ও ওমরাহকারীর ছওয়াব রোজ কিয়ামত পর্যন্ত জারী হতে থাকবে। আর যে ব্যক্তি দু' হেরেম শরীফের মধ্য থেকে কোন একটিতে মৃত্যুবরণ করে, হাশরের ময়দানে তার কোন হিসেব নিকেশের প্রয়োজন পড়বে না; বরং কেবল বলা হবে, যাও, তুমি বেহেশতে প্রবেশ কর। এক হাদীসে হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন যে, হজ্জে মকবুল দুনিয়া এবং যা কিছু দুনিয়ার আছে সবকিছু থেকে উত্তম। আর হচ্ছে মকবুলের বিনিময় একমাত্র বেহেশত। হাদীসে আরও এরশাদ হয়েছে যে, যারা হজ্জ ও ওমরাহ করে, তারা হল আল্লাহর দূত এবং সম্মানিত মেহমান। আল্লাহর কাছে তারা কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তা' মঞ্জুর করেন, মাগফেরাত কামনা করলে মাগফেরাত দিয়ে দেন, দোয়া করলে সে দোয়া কবুল হয়ে যায়, কোন সুপারিশ পেশ হলে তা' মঞ্জুর হয়ে যায়। আহলে বায়তের কারও দ্বারা বর্ণিত কোন এক হাদীসে রয়েছে যে, হুযুরে পাক (দঃ) বলেন, গুনাহগার শুধু তাকেই বলা যায়, যে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হয়েও ধারণা করে যে, আল্লাহ তাকে মাফ করেন নি।

        হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন, খানায়ে কা'বার উপরে প্রত্যহ একশ' বিশটি রহমত অবতীর্ণ হয়। এর মধ্যে তাওয়াফকারীর জন্য ৬০টি, নামায আদায়কারীর জন্য ৪০টি, দর্শকের জন্য ২০টি। অন্য হাদীসে রয়েছে যে, খানায়ে কা'বার তাওয়াফ যত পার বেশী করে কর। কারণ এটি খুব বড় ইবাদাত। রোজ কিয়ামতে আমলনামায় এটা পাওয়া যাবে। আর এর সমতুল্য ঈর্ষা করার যোগ্য অন্য কোন আমল নেই। এজন্যই হজ্জ ও ওমরাহ ছাড়াই প্রথম তাওয়াফ করা মুস্তাহাব। অন্য হাদীসে আছে, যে ব্যক্তি খালি পায়ে ও নগ্ন দেহে সাতবার তাওয়াফ করে, সে যেন একটি গোলাম আজাদ করে দিল। আর যে ব্যক্তি বৃষ্টিতে ভিজে সাতবার তাওয়াফ করে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মার্জিত হয়েযায়। বর্ণিত আছে যে, আরাফাতের ময়দানে আল্লাহ যে ব্যক্তির গুনাহ মাফ করে দেন, সে ব্যক্তির কাছে যে উপস্থিত হয় তার গুনাহসমূহও আল্লাহ মাফ করে দেন, পূর্ব যুগের এক বুযর্গ বলেন, যদি কোন বছর আরাফাতের তারিখ শুক্রবার হয় তাহলে সেদিন আরাফাতে উপস্থিত যে কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ মাগফেরাত দান করেন। আরাফাতের তারিখ শুক্রবার হলে, সেই শুক্রবার দিনটি দুনিয়ার যে কোন দিনের চাইতে মর্তবায় শ্রেষ্ঠ। উল্লেখ্য যে, হুযুরে পাক (দঃ) এদিনেই বিদায় হজ্জ করেছিলেন। আর তাঁর আরাফাতে অবস্থান কালেই কুরআনে পাকের নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছিল:

        আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম ওয়া আতমামতু আ'লাইকুম নি'মাতী ওয়। রাষ্ট্রতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা।

        অর্থাৎ আমি তোমাদের ধর্মকে পূর্ণ করলাম, আমার নিয়ামত তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ করলাম এবং দ্বীন হিসেবে ইসলামকে তোমাদের জন্য পছন্দ করলাম।

        আহলে কিতাবের লোকেরা বলেছিল যে, এই আয়াত যদি আমাদের উপর নাফিল হত, তাহলে সে দিনটিকে আমরা ঈদোৎসবের দিনে পরিণত করতাম। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ আয়াতটি দুটো ঈদের দিনে অবতীর্ণ হয়েছিল। তার একটি হল আরাফাতের দিন এবং অন্যটি হল শুক্রবার দিন এবং তখন হুযুরে পাক (দঃ) আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করছিলেন। এক হাদীসে বর্ণিত রয়েছে যে, হুযুরে পাক (দঃ) এরশাদ করেছেন, হে মাবুদ। তুমি হাজীকে ক্ষমা কর আর হাজী যার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাকেও ক্ষমা করে দাও। হাদীসে এরশাদ হয়েছে যে, আলী ইবনে মুওয়াফফাফ (রহঃ) হুযুরে পাকের (দঃ) পক্ষ থেকে কয়েকবারই হজ্জ্ব করেছিলেন। তিনি বলেন যে, আমি একবার স্বপ্নে দেখলাম, হুযুর (দঃ) আমাকে এরশাদ করছেন, হে আলী ইবনে মুওয়াফফাফ। তুমি কি আমার পক্ষ থেকে হজ্জ্ব আদায় করেছ? আমি বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি প্রশ্ন করলেন, তুমি কি আমার পক্ষ থেকে লাব্বায়েক বলেছ? আমি বললাম, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তখন তিনি বললেন, তাহলে এর প্রতিদান আমি তোমাকে রোজ কিয়ামতে দেব। মানুষ যখন সেদিনকার হিসেব-নিকেশের ব্যাপারে অস্থির থাকবে, তখন আমি তোমাকে তোমার হাত ধরে বেহেশতে প্রবেশ করিয়ে দেব।

        মুজাহিদ এবং অন্যান্য কতিপয় আলিম বলেছেন, হাজীগণ যখন হজ্জ্বের উদ্দেশ্যে মক্কা মুয়াযযমায় উপস্থিত হয়ে যায়, তখন যারা উটের পৃষ্ঠে চড়ে আসে, ফিরেশতারা তাদেরকে সালাম জানায়। যারা গাধার পৃষ্ঠে চড়ে আসে, তাদের সাথে করমর্দন করে। আর যারা পায়দল আসে তাদের সাথে আলিঙ্গন করে। হযরত হাসান বছরী (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রমযানের পরে, জিহাদের পরে অথবা হজ্জ্ব আদায় করার পরে মৃত্যুবরণ করে, সে ব্যক্তি শাহাদাত বরণের ছওয়াব অর্জন করে। হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, হাজীদের গুনাহ (নিঃসন্দেহে) মাফ হয়ে যায়। যিলহজ্জ, মহররম, সফর এবং রবিউল আউয়াল মাসের বিশ তারিখ পর্যন্ত তারা যাদের জন্য দোয়া করে তাদেরকেও আল্লাহ মাফ করে দেন। পূর্ব যুগের বুযর্গ মনীষীদের নিয়ম ছিল, তারা মুজাহিদগণকে জিহাদে গমনকালে বিদায় অভ্যর্থনা জানাতে কিছুদূর তাদের সঙ্গে গমন করতেন এবং হাজীদেরকে স্বাগত জানাতে তাদের আগমনকালে এগিয়ে যেতেন। আর তারা তাদেরকেচোখে ও ললাটে-চুম্বন করতেন। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না হাজীগণ পার্থিব কাজ-কারবারে লিপ্ত হত বা কোন গুনাহর কাজ-কর্মে জড়িয়ে পড়ত' তাদের নিকট দোয়া চাইতেন। আলী ইবনে মুওয়াফফাফ বলেন, একবার আমি হজ্জ উপলক্ষে গিয়ে আরাফাতের রাত্রিতে মসজিদে খায়েফে অবস্থান করলাম, সেদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, সবুজ পোশাক পরিহিত দুজন ফিরেশতা আসমান থেকে অবতরণ করল। তাদের একজন অপরজনকে আবদুল্লাহ বলে আহ্বান করলে সে লাব্বায়েক বলে সাড়া দিল। তখন প্রথম ফিরেশতা দ্বিতীয় ফিরেশতাকে লক্ষ্য করে বলল, তুমি কি বলতে পার এবার কতজন লোক আমাদের প্রতিপালকের গৃহের হজ্জ আদায় করেছে? দ্বিতীয় ফিরেশতা বলল, তা আমি বলতে পারব না। প্রথম ফিরেশতা বলল, এবার ছয় লক্ষ লোক হজ্জ আদায় করেছে। প্রথম ফিরেশতা দ্বিতীয় ফিরেশতাকে আবার প্রশ্ন করল, তুমি কি বলতে পার এবার কতজন লোকের হজ্জ কবুল হয়েছে? দ্বিতীয় ফিরেশতা বলল, তাও আমি বলতে পারব না। তখন প্রথম ফিরেশতা বলল, ছয় লক্ষ লোকের মধ্যে মাত্র ছয়জনের হজ্জ কবুল হয়েছে। একথা বলার পরেই উভয় ফিরেশতা উর্ধ্ব দিকে অন্তর্হিত হয়ে গেল। আমি তখন ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে উঠলাম, আমার মনে তখন এক নিদারুণ হতাশা ও নৈরাশ্য চেপে বসল। আমার মনে এ প্রশ্ন জেগে উঠলো যে, মাত্র সে ছয়জন লোকের মধ্যে আমি কি আর থাকতে পারব? অতঃপর যখন আমি আরাফাত থেকে প্রত্যাবর্তন করে মাশআরে হারামের নিকট রাত্রি কাটালাম, তখন কেবল এ চিন্তাই আমার মন আচ্ছন্ন করে রেখেছিল যে, এই বিপুল সংখ্যক লোকের মধ্যে মাত্র ছয়জন লোকেরই হজ্জ কবুল হল? এরূপ চিন্তা করতে করতে আমি নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম। আল্লাহর কি মর্জি। আমি আবার স্বপ্নে দেখলাম যে, পূর্বোক্ত সেই দুজন ফিরেশতাই আবার অরতরণ করল এবং একে অপরজনের সাথে পূর্বোক্ত আলোচনা শুরু করল। প্রথম ফিরেশতা দ্বিতীয় ফিরেশতাকে প্রশ্ন করল, তুমি কি জান আমাদের প্রতিপালক আজ রাত্রিতে কি আদেশ করেছেন? সে বলল, আমি জানি না। প্রথম ফিরেশতা বলল, আল্লাহ তায়ালা যে ছয়জনের হজ্জ কবুল করেছেন তাদের প্রত্যেকের যিম্মায় একলক্ষ করে মানুষ দিয়েছেন। তার অর্থ এই যে, এদের একেক জনের সুপারিশে একলক্ষ করে মোট ছয় লক্ষ লোকের হজ্জ কবুল হয়ে যাবে। আলী ইবনে মুওয়াফ্ফাফ বলেন যে, এরপর আমি যখন জাগ্রত হলাম তখন আমার মন আনন্দে উথলে উঠল।

        অন্য এক বর্ণনায় আছে, আলী ইবনে মুওয়াফ্ফাফ বলেন যে, একবার আমি যখন হজ্জের সম্পূর্ণ কাজ-কর্মগুলো সম্পন্ন করলাম, তখন হয়ত যাদের হজ্জ কবুল হয়নি তাদের কথা চিন্তা করে সবার জন্য দোয়া করলামঃ হে মাবুদ! আমি আমার হজ্জের ছওয়াব সেই ব্যক্তিকে দিয়ে দিলাম, যার হজ্জ তুমি কবুল করোনি। ইবনে মুওয়াফফাফ বলেন যে, সেদিন রাত্রিতে আমি আল্লাহ তায়ালাকে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আমাকে বললেন, হে আলী। তুমি আমার নিকট দানশীলতার সুন্দর নমুনা প্রকাশ করলে। জেনে রেখ, আমিই দানশীলতা এবং দাতাদেরকে সৃষ্টি করেছি। সমস্ত দান এবং দাতা আত্মার থেকেই সৃষ্টি। আর দান করার যোগ্যতা সর্বাপেক্ষা আমারই বেশী। আমি যাদের হজ্জ কবুল করি নি তাদেরকে এমন লোকদের যিম্মায় দিয়ে দিয়েছি যে, তাদের হজ্জ কবুল হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments